পালস রেট কমে যাওয়ায় উদ্বেগ অভিষেকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে, রাতভর হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী
হঠাৎ করে পালস রেট কমে যাওয়ায় উদ্বেগ ছড়াল অভিষেকের স্বাস্থ্য নিয়ে। শুক্রবার রাতে আচমকাই তাঁর পালস রেট কমতে শুরু করে। রাতেই সল্টলেক থেকে পুলিশ এসকর্ট করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়।
কলকাতা, ২২ অক্টোবর : হঠাৎ করে পালস রেট কমে যাওয়ায় উদ্বেগ ছড়াল অভিষেকের স্বাস্থ্য নিয়ে। শুক্রবার রাতে আচমকাই তাঁর পালস রেট কমতে শুরু করে। রাতেই সল্টলেক থেকে পুলিশ এসকর্ট করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়। বর্তমানে তাঁর শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল। রাতভর হাসপাতালেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই চারদিন কেটে গিয়েছে। এখনও ট্রমা থেকে বের হতে পারেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থার মনিটরিং করছেন প্রতিনিয়ত। এরই মধ্যে গত রাতে আচমকাই তাঁর পালস রেট নেমে যায় ৩৫-এ। উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় ৭০-৮০ থাকা উচিত পালস রেট। কিন্তু অভিষেকের পালস রেট ঘোরাফেরা করছে ৫০-এর আশেপাশে।
তারপর গতরাতে পালস রেট আরও নেমে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়। এদিকে অভিষেকের শারীরিক অবস্থান উন্নতি না হওয়ায় তাঁর ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল ফোর ফ্র্যাকচার অপারেশন করা যাচ্ছে না। ১৪ দিনের মধ্যেই তা করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেক-আপের পর জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সারা রাতই প্রায় ভাইপো অভিষেকের পাশে ছিলেন। তিনি জানান, অভিষেক এখনও দুর্ঘটনার আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। মাঝমধ্যেই চমকে উঠছে। গতকাল পালস রেট কমে যাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। এখন অভিষেকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে তাঁকে।
উল্লেখ্য গত ১৮ অক্টোবর মু্র্শিদাবাদ থেকে সভা করে ফেরার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে হুগলির হরিপালের কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে অভিষেকের গাড়ি। গুরুতর জখম হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চারজন।