কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক 'সংঘর্ষ'! নজিরবিহীন বলছেন একাংশ
কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা! আদালতের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন আইনজীবীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কাত ধন্ধুমার ঘটনা ঘটে যায় আদালত চত্বরে। এমনকি কামড়া-কামড়ির ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হ
কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা! আদালতের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন আইনজীবীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কাত ধন্ধুমার ঘটনা ঘটে যায় আদালত চত্বরে। এমনকি কামড়া-কামড়ির ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন বলে জানা যাচ্ছে।
তাঁদের দ্রুত এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি এই ঘটনায় বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে হাইকোর্টের ইতিহাসে এমন ঘটনার উদাহারণ রয়েছে কিনা এক কথায় কেউই মনে করতে পারছেন না।
তবে এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে বারের বৈঠকে হওয়া এই ঘটনা নিয়ে আদলতের কিছু করার নেই বলে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে আদালত হস্তক্ষেপ করতেই পারে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আদালতের শুনানির কাজ সাময়িক সময়ের জন্যে বন্ধ হয়ে যায় বলেও আদালত সূত্রের খবর।
ঘটনার সূত্রপাত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট নিয়ে। আর সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব আনতেই বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক ডাকা হয়।
গত কয়েকদিনে একাধিক মামলার তদন্তের নির্দেশ রাজ্যের বিপক্ষে গিয়েছে। বিশেষ করে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের। এমনকি আজ খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আর এরপরেই আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের কথা বলে।
বিশেষ করে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা এই বিষয়ে সুর চড়ান। এমনকি প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠিও লিখেছেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। আর সেই সভা চলাকালীনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আইনজীবীদের অন্য অংশ এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় বলে বিচারপতির এজলাস বয়কট! তা মানতে চাননি একাংশ। এমনকি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান বারের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ। আর তাতেই আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আইনজীবীদের দুই দলের মধ্যে তীব্র মারপিঠ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ডাকার মতো অবস্থা তৈরি হয়। যদিও এজলাস বয়কট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এদিন নেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয় এদিন।