ধারাবাহিক আন্দোলন, প্রতারণার বিরুদ্ধে জয় ঠিকাশ্রমিক ইউনিয়নের
ধারাবাহিক আন্দোলন, প্রতারণার বিরুদ্ধে জয় ঠিকাশ্রমিক ইউনিয়নের
নাগাড়ে আন্দোলন চালিয়েছিলেন ওরা। থেমে থাকেননি। আর সেই নাগাড়ে আন্দোলনের ফল মিলেছে। এসেছে জয়।
দশ মাসের লড়াই
প্রায় ১০ মাস ধরে কলকাতা কনট্রাক্টর্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (সিআইটিইউ)-এর ধারাবাহিক আন্দোলন আরো এক ধাপ জয় ছিনিয়ে আনল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলগুলোতে কর্মরত ঠিকাশ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই ঠিকাদারের অত্যাচার ও প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। শ্রমিকরা সিআইটিইউ ইউনিয়নের নেতৃত্বে এবং কলকাতা ইউনিভার্সিটি এম্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের স্থায়ী কর্মচারীদের সহায়তায় ইতিমধ্যে একাধিকবার বন্ধ হয়ে যাওয়া মাসিক মাইনে প্রদান করতে ঠিকাদারকে বাধ্য করেছেন।
২১ মাসের বকেয়া
কিন্তু লকডাউনকালীন ২১ মাসের বকেয়া বেতনের দাবির ফয়সলা হচ্ছিল না। প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সময়ের কর্মচারীদের বেতন বাবদ কয়েক কোটি টাকা ঠিকাদারকে বরাদ্দ করলেও ঠিকাদার সেই টাকা আত্মস্যাৎ করে নেয়। শ্রমিকদের তাদের প্রাপ্য মজুরি দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান, মিছিল থেকে কখনো উপাচার্যকে, কখনো সহউপাচার্যকে ঘেরাও করা হয়।
হাইকোর্টে পিটিশন
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টেও পিটিশন দাখিল করেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোকন মজুমদার সহ অন্য তিনজন শ্রমিক। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন শ্রমিকদের পক্ষেই। এই রায় বেরনোর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও ইউনিয়নের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় এবং অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রথম ইন্স্টলমেন্ট প্রদান
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গল ও বুধবার দুদিনে অন্বেষা ম্যান পাওয়ার এজেন্সী নামক ঠিকা কোম্পানী শ্রমিকদের বকেয়া মাইনের প্রথম ইন্স্টলমেন্ট প্রদান করেছে। বাকি বকেয়া মজুরির দাবিতে একদিকে যেমন আদালতে লড়াই চলবে তেমনই রাস্তায় লড়াইয়ের তিব্রতাও বাড়ানো হবে বলে ইউনিয়ন নেতৃত্ব জানিয়েছেন। আপাতত দেখবে কোনদিকে এগোচ্ছে সবকিছু। তারপর নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
ভারতীয়
ট্রেড
ইউনিয়ন
কেন্দ্র
(সেন্টার
অব
ইন্ডিয়ান
ট্রেড
ইউনিয়ন
বা
সিটু)
ভারতের
একটি
জাতীয়
স্তরের
শ্রমিক
সংগঠন।
ভারতের
ত্রিপুরা,
কেরালা,
পশ্চিমবঙ্গ,
তামিলনাড়ু,
কানপুর,
অন্ধ্রপ্রদেশসহ
সমগ্র
ভারতবর্ষ
জুড়ে
এই
শ্রমিক
সংগঠনটির
ব্যাপক
প্রভাব
রয়েছে।
এটি
ভারতের
অন্যতম
জাতীয়
রাজনৈতিক
দল
সিপিআই(এম)-এর
শ্রমিক
শাখা।
ভারতীয়
শ্রম
মন্ত্রক
কর্তৃক
প্রদত্ত
তথ্য
অনুযায়ী,
২০১৫
সালে
ভারতে
৬০,৪০,০০০
জন
সিটু
সদস্য
ছিল।
তপন
কুমার
সেন
এই
শ্রমিক
সংগঠনের
সাধারণ
সম্পাদক
এবং
ড.
কে.
হেমলতা
এই
শ্রমিক
ইউনিয়নের
প্রথম
মহিলা
সভাপতি।[
সিটু
ওয়ার্কিং
ক্লাস
(বাংলা-
শ্রমিক
শ্রেণী)
নামে
একটি
মাসিক
পত্রিকা
প্রকাশ
করে
থাকে।
এই
শ্রমিক
ইউনিয়নটি
বিশ্ব
ট্রেড
ইউনিয়ন
ফেডারেশন-এর
সাথে
যুক্ত।
'CBI ED don't touch my body' বিধানসভায় নতুন পাঞ্জাবিতে স্লোগান লিখে নজর কাড়লেন বিধায়ক