পুলিশকে দেন শর্ত! দেড় ঘন্টার অপারেশনে কীভাবে ধরা দিলেন ওই হামলাকারী
তাও আবার কিনা কলকাতা যাদুঘরের কাছেই সিআইএসএফ ব্যারাক লক্ষ্য করে রোমহর্ষক এই ঘটনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান তারই সহকর্মীদের লক্ষ্য করে এই গুলি চালায় বলে জানা যাচ্ছে। অন্তত ১৫ রাউন্ড ওই জওয়ান গুলি চালায় বলে জানা যাচ্ছে।
একেবারে ভর সন্ধ্যায় কলকাতা বুকে চলল গুলি। তাও আবার কিনা কলকাতা যাদুঘরের কাছেই সিআইএসএফ ব্যারাক লক্ষ্য করে রোমহর্ষক এই ঘটনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান তারই সহকর্মীদের লক্ষ্য করে এই গুলি চালায় বলে জানা যাচ্ছে। অন্তত ১৫ রাউন্ড ওই জওয়ান গুলি চালায় বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘটনায় আহত আরও একজন আহত বলে জানা যাচ্ছে।
আটক করা হয়েছে ওই জওয়ানকে
ঘটনার পরেই ঘটনাস্থজলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। আসে স্পেশাল কমান্ড টিম। প্রায় দেড় এক ঘন্টার অপারেশনে বুঝিয়ে ওই অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কার্যত এই এক ঘন্টা ছিল একেবারে রুদ্ধশ্বাস একটা মুহূর্ত। আর সেই মুহূর্তে বলা যেতে পারে স্নায়ুর লড়াই দেখিয়েছে কলকাতা পুলিশ। দীর্ঘ বোঝানোর পর ওই জওয়ানকে আটক করা সম্ভব হয় বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারের সময় নির্লপ্ত ছিল ওই জওয়ান
দীর্ঘ দেড় ঘন্টা অপয়ারেশন শেষে গ্রেফতার করা হয় ওই জওয়ানকে। কিন্তু গ্রেফতারের সময় একেবারে নির্লিপ্ত ছিলেন ওই জওয়ান। গ্রেফতারের পর বের করার সময় ওই অভিযুক্তকে হাত নাড়তেও দেখা যায়। তবে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানাচ্ছেন, দীর্ঘ বোঝানোর পরে গ্রেফতার করা গিয়েছে। তবে কি কারণে এই ঘটনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
মানসিক অবসাদে ওই জওয়ান ছিলেন
তবে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা চলছিল। এমনকি ছুটি পাওয়া যায়নি বলেই নাকি সহকরমীদের উপর এই গুলি চালানোর ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি গত কয়েকদিন আগে শোনা যাচ্ছে ওই জওয়ানের বাবার মৃত্যু হয়েছিল। আর এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ওই জওয়ান ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
কীভাবে অপরেশন
একেবারে নিখুঁত নকশা বানিয়ে দেড় ঘন্টার এই অপারেশন চালায় কলকাতা পুলিশ। জানা যায়, ঘটনার পরেই ওই এলাকা পুরো অন্ধকার করে দেওয়া হয়। এরপর স্মোক ছুঁড়ে ওই জওয়ানকে আত্ম সমপরন করতে বলা হয়। শোনা যায় সেই সময় ওই জওয়ান শর্ত দেয়। বলে সে আত্মসমর্পন করবে কিন্তু বিনা অস্ত্রে আসতে হবে। তাতে রাজি হয় কলকাতা পুলিশ। সেই মতো আধিকারিকরা সেখানে যান। কিন্তু পিছনে ফোর্স তৈরি ছিল। জানা যায়, সেই সময় সে পুলিশের কাছে ধরা দেয় বলে জানা যায়। ধরা পরার পর পুলিশকে বেশ কিছু সমস্যার কথা ওই জওয়ান জানিয়েছেন বলে জানা জাছে। তবে কি সমস্যা জানা যায়নি।