জেশপ কর্তাকে কারখানা-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করবে সিআইডি
সিআইডি জালে জেশপ কর্তা পবন রুইয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল জোর করে তাঁকে অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। খতিয়ে দেখতেই তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাবে সিআইডি।
কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর : সিআইডি জালে জেশপ কর্তা পবন রুইয়া ধরা পড়ার পর থেকেই তাঁর পক্ষ থেকে দাবি উঠছিল জোর করে অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এবার জেশপ কর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে যাবে সিআইডি। রেলের ৫০ কোটি টাকা তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে, তাও অস্বীকার করেছেন রুইয়ার আইনজীবী।
পবন রুইয়ার আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে তিনি আর কোম্পানির ডিরেক্টর পদে নেই। ফলে ৫০ কোটি টাকার রেলের যন্ত্রাংশ লোপাটের ঘটনায় তাঁর কোনও দায়িত্ব থাকতে পারে না। এই দাবি অবশ্য সমূলে উৎখাত করে দিয়েছে সিআইডি। সিআইডি-র পাল্টা দাবি, ডিরেক্টর পদে না থাকলেও চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি বহাল রয়েছেন জেশপে। ফলে তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
দিল্লির নিজামুদ্দিনের সুন্দরনগরের বাড়ি থেকে জেশপ কর্তাকে গ্রেফতার করার পর গতকালই তাঁকে বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাবে সিআইডি। সিআইডি ঠিক করেছে, জেশপ কর্তার বিরুদ্ধে অগ্নিকাণ্ড ও চুরির ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। সিআইডি তদন্ত উঠে এসেছে অন্তর্ঘাতের প্রমাণ। এবার সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখার বিষয়টি লেরে ফেলতে চাইছে সিআইডি।
এদিকে ৫০ কোটি টাকা যদি তিনি আত্মসাৎই করে থাকেন, তবে তা কোথায় গেল, সেই বিষয়েও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে সিআইডি। সিআইডি মনে করছে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাঠানো হতে পারে। হাওলার মাধ্যমেই ওই টাকা বিদেশে চলে গিয়েছে বলে, তাঁদের অনুমান। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের ভূমিকাও।
এদিকে রেলের মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার আরও তিনটি ধারা যুক্ত করল সিআইডি। ১২০ বি অর্থাৎ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ২০১ অর্থাৎ তথ১ ও প্রমাণ লোপাট এবং ৪৩৬ অর্থাৎ জোর করে অগ্নিসংযোগের ধারা যুক্ত করা হয়েছে রুইয়া মামলায়। এক্ষেত্রে তাঁর মোডাস অপারেন্ড কী ছিল তা খতিয়ে দেখতে বদ্ধ পরিকর সিআইডি। তাই তাঁকে কারখানাতেও নিয়ে আসা হতে পারে।