লক-আপে বিনিদ্র রজনী কাটালেন জেশপ কর্তা, দফায় দফায় জেরা সত্ত্বেও একই সুর রুইয়ার গলায়
সিআইডি-র হাতে ধরার পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তাঁর যুক্তিতে এখনও অনড় জেশপ কর্তা পবন রুইয়া। এখনই সেই একই সুরে সিআইডি জেরায় রুইয়া বলে চলেছেন, জেশপে কী হত, তিনি জানেন না।
কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর : সিআইডি-র হাতে ধরার পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তাঁর যুক্তিতে এখনও অনড় জেশপ কর্তা পবন রুইয়া। এখনই সেই একই সুরে সিআইডি জেরায় রুইয়া বলে চলেছেন, জেশপে কী হত, তিনি জানেন না। ২০০৮ সালের পর থেকে আর তিনি ডিরেক্টর পদে নেই। ফলে রেলের ওই বারতের দায়ও তাঁর উপর বর্তায় না।
গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য মাসাবধি কাল সিআইডি-র চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দিল্লির বাড়ি থেকে নিজের জন্মদিনেই গ্রেফতার হন তিনি। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে জেরা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
দফায় দফায় জেরা চলছে। তার আগে পুলিশ লকআপে প্রায় বিনিদ্র রজনী কেটেছে তাঁর। শুধু একটা কম্বলের বিছানায় মশাকে সঙ্গী করে কাটালেন পুলিশ লক-আপে। খেলেন জেলের খাবার। বাড়ি থেকে কাবার এলেও এদিন সেই খাবার তাঁকে দেওয়া হয়নি।
রেলের যন্ত্রাংশ লোপাটের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আগুন লাগানো ও ষড়যন্ত্রে মদতের অভিযোগ এনেছে সিআইডি। জেশপের অডিট রিপোর্টে একাধিক কারচুপি ধরা পড়েছে। সে বিষয়েও জেশপ কর্তাকে প্রশ্ন করা হয়।
জেশপ বিআইএফআর-এ চলে যাওয়ার পর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই রুগণ সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকার হদিশ পায়নি কেন্দ্র। এছাড়া জেশপে অগ্নিকাণ্ড কোনও দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবেই তা লাগনো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
রেলের ৫০ কোটি টাকা তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে, তাও অস্বীকার করেছেন রুইয়ার আইনজীবী। পবন রুইয়ার আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে তিনি আর কোম্পানির ডিরেক্টর পদে নেই।
ফলে ৫০ কোটি টাকার রেলের যন্ত্রাংশ লোপাটের ঘটনায় তাঁর কোনও দায়িত্ব থাকতে পারে না। এই দাবি অবশ্য সমূলে উৎখাত করে দিয়েছে সিআইডি। সিআইডি-র পাল্টা দাবি, ডিরেক্টর পদে না থাকলেও চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি বহাল রয়েছেন জেশপে। ফলে তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।