বিজেপি নেতা 'বিরাট' দুর্নীতিতে অভিযুক্ত! লালবাজারে তলব করে দীর্ঘ জেরা সিআইডির
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের উজ্জলা প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার লালবাজারে ডেকে জেরা করা হল জেলা সভাপতি রণজিৎ মজুমদারক
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের উজ্জলা প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার লালবাজারে ডেকে জেরা করা হল বিজেপির আর এক নেতা রণজিৎ মজুমদারকে। তাঁকে দীর্ঘ জেরায় উঠে এসেছে রাজ্য বিজেপির আরও অনেক নেতার নাম। ফের মঙ্গলবার অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে জেরা করবেন গোয়েন্দারা।
সোমবার বিজেপির ওই নেতাকে তলব করা হয় লালবাজারে। লালবাজারে ডেকে তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনার আরও অনেক রাজ্য বিজেপি নেতার নাম উঠে এসেছে। তাঁদেরও একে একে তলব করা হবে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সম্প্রতি সারদা-রোজভ্যালিসহ চিটফান্ড-তদন্তে সক্রিয় হতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিনই সারদা-কাণ্ডে নতুন করে জেরা শুরু করা হয়েছে। এদিন কুণাল ঘোষকে ফের জেরা করা হয়। আর এই অবস্থায় রাজ্য প্রশাসন বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিজেপি নেতার দুর্নীতিকে সামনে আনা হল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা দিল। কারণ লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তৃণমূল নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিজেপিকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিল রাজ্য।
উল্লেখ্য, এর আগে সারদা-নারদে যখন সক্রিয় হয়েছিল কেন্দ্র, তখন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ তুলে পাল্টা তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্য। পরে সমস্ত তদন্তই ধামাচাপা পড়ে। এখন আবার বিজেপি সক্রিয় হতেই রাজ্যও বুঝিয়ে দিল তাঁরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। উল্টে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপির চাপ বাড়িয়ে দিল রাজ্য।