শিশু চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য, মেডিকেলে আয়ারাজ বন্ধে নির্দেশিকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির পর টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের। এবার আয়া রাজ বন্ধ করতে তৎপরতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগীর আত্মীয়-পরিজন ছাড়া কাউকে প্রবেশাধিকার নয়।
কলকাতা, ১৫ মার্চ : মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির পর টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের। এবার আয়া রাজ বন্ধ করতে তৎপরতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগীর আত্মীয়-পরিজন ছাড়া কাউকে প্রবেশাধিকার নয়। কড়া হচ্ছে নিরাপত্তা। কার্ড ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আর কোনওভাবেই আয়াদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দিতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ।
এদিন মেডিকেলের চিকিৎসক সংগঠনের নেতা নির্মল মাজি জানান, বাড়ি থেকে রোগীর সঙ্গে আয়া সেজে কারও আসা যাবে না। রক্তের সম্পর্ক ছাড়া হাসপাতালে কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে ব্যবহার করা হবে সচিত্র পরিচয় পত্র। রোগীর সঙ্গে যিনি থাকবেন, তাঁকে সচিত্র পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়া নির্ম মাজি জানান, হাসপাতালে সম্পত্তি ভাঙচুর নিয়েও আমরা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর আগে সরকারি হাসপাতালে আয়াদের দাপট নিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে দু'টি ঘটনায় অভিযুক্ত আয়ারা। দাবি মতো টাকা না পাওয়ায় এক প্রসূতির প্সবদ্বার কেটে তুলো-গজ ভরে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আয়ার বিরুদ্ধে। অন্য একটি ঘটনায় টাকা না পেয়ে সদ্যোজাতকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এবার আয়ার কাজের সুযোগ নিয়েই খাস মোডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর নড়চড়ে বসেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিধায়ক নির্মল মাজিও এই আয়ারাজ বন্ধের জন্য তৎপরতা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়ম করে আয়া-রাজ বন্ধ করছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীও উদ্বিগ্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি নিয়ে। তিনি নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন। এই বৈঠকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। রাজ্যে শিশু পাচারের যে চক্র কাজ করছে, তার সঙ্গে মেডিকেল কলেজে শিশু চুরি যে নতুন অস্বস্তি নিয়ে এসেছে, তারপর একটা কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।