পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ প্রধান বিচারপতির কোর্টে, নবান্নে কৌশল-বৈঠকে রাজ্য
আগামী ৪ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে মহারণ। রাজ্য সরকার তাই বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত বৈঠকে বসতে চলেছে নবান্নে।
আগামী ৪ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে মহারণ। রাজ্য সরকার তাই বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত বৈঠকে বসতে চলেছে নবান্নে। মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে নবান্নে সেই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি-রা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে, এবার প্রচার পর্বে নানা সংকট তৈরি হয়েছে নতুন করে। তার প্রধান কারণ, এখনও কবে ভোট হবে, তা নিয়ে সংশয় দূর হয়নি। ১৪ মে যদিও নির্বাচন কমিশন ভোট-নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে, কিন্তু নিরাপত্তা-সংকটে তাও এখন অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলা পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
এই অবস্থায় ৪ মে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য ও কমিশনকে নির্বাচনে নিরাপত্তা বিষয়ক রিপোর্ট পেশ করতে হবে। তবে ১৪ মে-র প্রস্তাবিত ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হবে। নইলে প্রধান বিচারপচিই স্থির করবেন ভোট-ভবিষ্যৎ। এই অবস্থায় মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে বৈঠক অনুষ্ঠত হবে।
একদফায় এই ভোট করতে পাঁচ রাজ্যকে বাহিনী চেয়ে চিঠি লিখেছে নবান্ন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ তা জানান। এবং নিশ্চিত করেন রাজ্যের পুলিশ, কারারক্ষী ও পাঁচ রাজ্য থেকে বাহিনী এলে এক দফায় ভোট করা যাবে। কিন্তু পাঁচ রাজ্য থেকে কত বাহিনী আসবে, সেই হিসেব এখনও দিতে পারেনি রাজ্য।
এবার সেই হিসাবই দিতে হবে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির কাছে। সেই রিপোর্টের উপরই ভিত্তি করবে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ। এখানে উল্লেখ্য, ৫৮ হাজার বুথের মধ্যে ১১ হাজার বুথে ভোট হবে না। অর্থাৎ ৪৭ হাজার বুথে ভোট। কিন্তু রাজ্যের হাতে সশস্ত্র পুলিশ মাত্র ৪৬ হাজার। আর হাতে রয়েছে ১২ হাজার লাঠিধারী পুলিশ।
এই অবস্থায় কারা দফতরের কাছ থেকে কিছু বাহিনী নিতে চাইছে রাজ্য। এবং এক দফায় ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী না এনে পাঁচ রাজ্য থেকে বাহিনী আনছে নবান্ন। এই ব্যাপারেই কত বাহিনী আসছে, তাঁদেরকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করতেই এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।