নয়া আইন প্রণয়ন নয়, পুরনো আইনেই বেসরকারি স্কুলগুলিকে ‘শিক্ষা’ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
পুরনো আইনেই ‘শিক্ষা’ দেওয়া যাবে বেসরকারি স্কুলগুলিকে। হাসপাতালের ‘স্বাস্থ্য’ ফেরাতে যেমন নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে, তার প্রয়োজন নেই স্কুল শাসনে।
কলকাতা, ১৮ মার্চ : পুরনো আইনেই 'শিক্ষা' দেওয়া যাবে বেসরকারি স্কুলগুলিকে। হাসপাতালের 'স্বাস্থ্য' ফেরাতে যেমন নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে, তার প্রয়োজন নেই স্কুল শাসনে। সার বুঝেছেন মমতা। তাই পুরনো আইন মোতাবেক স্কুলগুলির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে নির্দেশিকা আনতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারি স্কুলগুলিতে ভর্তি নিয়ে অন্যাহ্য দাবি করলে পুরনো আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে পারবেন বিদ্যালয় পরিদর্শক।[ইভিএম জালিয়াতির অভিযোগে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক, মোদী বিরোধিতায় সুর মেলালেন মমতাও]
প্রয়োজনে স্কুএলর অনুমোদনও বাতিল করতে পারে স্কুল দফতর। ২০১২ সালের মার্চে এই আইন প্রণয়ন হয়েছিল। কিন্তু তাঁর প্রয়োগ সে অর্থে হয়নি। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে ঘুরতেই, তা প্রকাশ্যে আসে।[বাংলায় বিজেপি ৩ বা ৪ নম্বরে, তৃণমূলকে সরাতে পারবে না ওরা : মমতা ]
মুখ্যমন্ত্রী বিধির বাঁধনে সকুলগুলিকে বাঁধতে কী আইন রয়েছে, তার সংশোধনী নিয়ে আলোচনা চান। তখনই জানতে পারেন পুরনো ওই আইনের কথা। সেই আইন মোতাবেকই স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
উচ্চমাধমিক পরীক্ষার পরই মুখ্যমন্ত্রী স্কুলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন। বেসরকারি স্কুলগুলির ভর্তি-দৌরাত্ম্য ঠেকাতে 'প্রেসিক্রিপশন' দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় স্বাস্থ্য বিল পেশ করার পরই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারি স্কুল যে হারে চড়া ডোনেশন নিচ্ছে, তা নাপসন্দ জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।