নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বামেদের বৈঠকে জল্পনা
বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের পর এবার বাম বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে এই বৈঠক হয়।বৈঠকে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন
বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের পর এবার বাম বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাম বিধায়কদের বঞ্চনার অভিযোগই আলোচনার মূল বিষয় ছিল বলে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্যর অভিযোগ ছিল, শিলিগুড়ির উন্নয়নে প্রাপ্ত টাকা দিচ্ছে না রাজ্য। এরকমই আর দু-একটি জায়গায় যেখানে বামেদের জনপ্রতিনিধি আছে সেখানে উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতেও সরকারিদলের জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হলেও, বাম জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হচ্ছিল না বলেও অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গীতাঞ্জলির মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও বাম জনপ্রতিনিধিদের অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছিল না বলেও অভিযোগ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বঞ্চনার অভিযোগ ছাড়াও, কৃষকদের নানা অসুবিধা নিয়ে বাম বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী সমস্যার কথা শুনেছেন বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন বাম বিধায়করা। সমস্যার সমাধানে মন্ত্রী ও আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার বাম বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক। ২০১৯-কে সামনে রেখে নানা জল্পনাও উঠে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে বাম জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তুললেও, কেন এই অভিযোগ সমাধানের উদ্যোগ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও এর আগেই বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়ে দিয়েছেন ২০১৯-এর ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে তারা থাকছেন না।