মোদীর কুর্সির রাশ থাকছে মমতার হাতে! মহাজোটের আকাশে একসঙ্গে দুই চন্দ্রোদয়
তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও ও তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুরাও চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে।
একইসঙ্গে মহজোটের আকাশে দুই চন্দ্রের আনাগোনা। এক চন্দ্র তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। আর দ্বিতীয় চন্দ্র হলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান। দুই চন্দ্র-ই চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে।
সেই আঙ্গিকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চলে এসেছেন। আর বিরোধী জোটের পালে নতুন করে হাওয়া তুলে চন্দ্রবাবু নাইডু ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি আসার। দিল্লিতে বৈঠক করে তৃতীয় তথা ফেডেরাল ফ্রন্ট গড়ে তুলতে উদ্যোগী তিনিও। উদ্যোগী শারদ পাওয়ারও। তিনিও উপস্থিত থাকবেন দিল্লিতে এই জোট বৈঠকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইতিমধ্যে ওই বৈঠকে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। এখন দেখার মমতার এই দিল্লি যাত্রায় ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কোনও বৈঠক হয় কি না। তা হলে বিজেপি বিরোধী ফেডেরাল ফ্রন্টের হাওয়া মহাজোটে পরিবর্তিত হতে পারে নিমেষেই। সেক্ষেত্রে ২০১৯-এ যে নরেন্দ্র মোদীর পতন আরও নিশ্চিত হবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
Telangana Chief Minister KC Rao meets Chief Minister Mamata Banerjee in West Bengal's Kolkata pic.twitter.com/8G9Appz2sU
— ANI (@ANI) March 19, 2018
তেলেগু দেশম পার্টি এনডিও ছাড়ার পরই বিজেপির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে সংসদে। শিবসেনা, আকালি দল, লোক জনশক্তি পার্টিও এনডিএ ছাড়ার পথে পা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভায় অনাস্থা নিয়ে চাপে মোদীর সরকার। একইসঙ্গে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বিজেপি বিরোধী জোটের আওয়াজ তুলেছেন।
২০১৯-এ বিজেপি বিরোধী জোটকে আরও গতি এনে দিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন চন্দ্রশেখর রাও। সেই বৈঠকে অবিজেপি জোট গড়তে দুই আঞ্চলিক শক্তি একজোট হয়ে লড়বে বলে সম্মত হন দুই পার্টি প্রধান। বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত আঞ্চলিক শক্তিকে এক হওয়ার কথা বলেন মমতা। তাঁর সঙ্গে একই সুর তোলেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধানও।
এরপর দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি এক হয়ে যে বৈঠক করবেন, সেখান থেকে কী বার্তা উঠে আসে, তার উপর নির্ভর করবে অনেক কিছুই। মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ চতুর্বেদীরাও। যোগাযোগ রয়েছে আরজেডির। আর যোগাযোগ তৈরি হয়েছে দক্ষিণের দলগুলিরও। অন্যান্যরাও এই উদ্যোগে সামিল হন কি না, তা-ই দেখার।