ডান-বাম পেরিয়ে এবার কোন পথে চন্দ্র বসু? ২০২৪-এর আগেই নতুন চমক!
ডানপন্থী রাজনীতি কোনও দিনই পছন্দ করতেনা না নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তা সত্ত্বেও তাঁরই প্রপৌত্রকে দলে এনে চমক দিয়েছিল বিজেপি। ভোট রাজনীতিতে তাঁর সাফল্য তেমন আসেনি, তবে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারাননি তিনি। গেরুয়া শিবিরের স
ডানপন্থী রাজনীতি কোনও দিনই পছন্দ করতেন না নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তা সত্ত্বেও তাঁরই প্রপৌত্রকে দলে এনে চমক দিয়েছিল বিজেপি। ভোট রাজনীতিতে বড় সাফল্য না এলেও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারাননি চন্দ্র কুমার বসু। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়লেও আদর্শ থেকে সরে আসেননি তিনি। যে আদর্শ নিয়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন, সেই আদর্শকে পাথেও করেও নতুন পথে হাঁটার শপথ নিয়েছেন চন্দ্র বসু।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে তিনি জানালেন তাঁর নয়া পরিকল্পনার কথা।
OneIndia বাংলার মুখোমুখি হয়ে চন্দ্র বসু জানিয়েছেন, তাঁর রাজনীতিতে আসার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের জন্যে কাজ করা। ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকাকালীন সেই কাজের সুযোগ হয়নি তাঁর। নেতাজির আদর্শে গঠিত একটি দল হলেও ফরওয়ার্ড ব্লক ক্রমশ বাম মনোভাবাপন্ন হয়ে পড়ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, নেতাজির আদর্শ থেকে ক্রমেই সরে এসেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা যায়নি।
এরপরই তাঁর জীবনে আসে রাজনৈতিক ক্লাইম্যাক্স। সকলে চমক দিয়েই বিজেপিতে যোগ দেন চন্দ্র বসু। কেমন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে কথাও OneIndia বাংলাকে জানালেন অকপটে।
চন্দ্র বসু'র কথায়, আদতে ইচ্ছা ছিল নতুন দল তৈরি করার, যারা নেতাজির আদর্শের কথা বলবে। সে পথে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বোঝান, বিশ্বের সবথেকে বড় দল তথা বিজেপির অংশ হয়েই নেতাজির আদর্শ প্রচার করতে পারবেন চন্দ্র বসু। আজাদ হিন্দ মোর্চা গড়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন মোদী।
চন্দ্র বসুর আক্ষেপ, তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও আজান্দ হিন্দ মোর্চার গড়ার কোনও উদ্যোগই নেয়নি মোদী সরকার। এমনকি দলের তরফেও কোনও উদ্যোগ ছিল না। ফলে সেখানেও নেতাজির কথা বলার কোনও জায়গা তৈরি হয়নি।
It's time a progressive-'New Left', emerges to save Bengal & the nation. All like minded progressive individuals must unite to save the country from appeasement & divisive politics. Enough is Enough! pic.twitter.com/bhqHDkHaLW
— Chandra Kumar Bose (@Chandrakbose) August 12, 2022
তাই সে সব থেকে সরে এসে এবার একেবারে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন নেতাজির প্রপৌত্র। তিনি উল্লেখ করেন, আজকের দিনে রাজনীতি করার অর্থ ভোটে জেতা। একবার জিতে গেলে আর কোনও কাজ করার উদ্যোগ নেন না কেউ। জেতা হয়ে ওঠেনি তাঁর। কিন্তু তাঁর কথায়, 'রাজনীতিতে কোনও অবসর হয় না।' পাশাপাশি, ২০১৯ সালে তাঁর কেন্দ্রের ১২ লক্ষ মানুষ যে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এবার তিনি নতুন পথে চলবেন, আর তার নাম 'নিউ লেফট' বা নতুন বামপন্থা।
চন্দ্র বসু চাইছেন, সেই নতুন বামপন্থা আসলে নেতাজির কথা বলবে, তাঁর আদর্শেই চলবে। ২০২৪-এর আগে নতুন সেই দিশা দেখাতে বদ্ধপরিকর তিনি। তাঁর কথায়, '২৪-এর আগে নিউ লেফট যদি নতুন দিশা দেখাতে না পারে, তাহলে বুঝতে হবে দেশ ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।' নিউ লেফট নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন চন্দ্র বসু।
এমনকী একাধিক নেতৃত্বের সঙ্গেও কথাবার্তা এগিয়েছে। তবে কার বা কাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে তা সময় এলেই স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্র কুমার বসু।