গরুর পর এবার ছাগল 'মাতা'! বিজেপির বর্তমান ও প্রাক্তনী-র টুইট-টক্কর
বিজেপি-র এক বর্তমান ও এক প্রাক্তনীর মধ্যে টুইট যুদ্ধ। নেতাজি পরিবারের সদস্য তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বোস টুইটে বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী ছাগলকে মাতা বলে মনে করতেন এবং হিন্দুদের ছাগলের মাংস খেতে বারণ করেছিলেন। যদিও এর পাল্টা দিয়েছেন, ত্রিপুরা রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি বলেছেন, মহাত্মা গান্ধী কখনই ছাগলকে মাতা বলে মন্তব্য করেননি।

গোরক্ষকদের সমালোচনায় চন্দ্র বোস
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অন্যতম সহসভাপতি চন্দ্র বোস। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গোরক্ষকদের আচরণের কড়া সমালোচনা করেছিলেন এর আগে। বিষয়টি নিয়ে দলেও বিতর্ক হয়েছিল। এবার তাঁর বিতর্ক ছাগলকে নিয়ে।
|
গান্ধীজি ও ছাগল
টুইটে চন্দ্র বোস বলেছেন, কলকাতায় আসলে গান্ধীজি তাঁর ঠাকুরদা শরৎ বোসের ১ নম্বর উডবান পার্কের বাড়িতে থাকতেন এবং ছাগলের দুধের জন্য বলতেন। সেই দন্য সেই বাড়িতে দুটি ছাগল কিনে রাখা হয়েছিল। গান্ধীজিকে হিন্দুদের রক্ষা কর্তা বর্ণনা করে চন্দ্র বোস বলেছেন, মাতা হিসেবে মনে করে, তিনি ছাগলের দুধ খেতেন। সেইজন্য হিন্দুদের উচিত ছাগলের মাংস খাওয়া বন্ধ করা।

ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের প্রতিক্রিয়া
ঘন্টা তিনেকের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানান, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি বলেন, গান্ধীজি কিংবা শরৎ বোস কেউই কোনও সময় ছাগলকে মাতা বলে মন্তব্য করেননি। আর গান্ধীজি নিজেও কোনও সময় দাবি করেননি তিনি হিন্দুদের রক্ষাকর্তা। তথাগত রায় বলেন, হিন্দুরা ছাগলকে নয়, গরুকেই মাতা বলে মনে করে এসেছে। চন্দ্র বোসকে এই ধরনের কথা না ছাড়ানোর জন্য অনুরোধও করেন তথাগত রায়।
|
ছাগল নিয়ে টুইট যুদ্ধ
এরপরেও টুইট যুদ্ধ চলতে থাকে। চন্দ্র বোস বলেন, তাদের পৈত্রিক বাড়িতে থাকার সময় গান্ধীজি ছাগলের দুধের ওপরেই জোর দিতেন। সেইজন্য ধরে নেওয়া যেতে পারে তিনি ছাগলকে মাতা বলেই মনে করতেন। সেই বিষয়ে কোনও বিতর্কই চলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পাল্টা টুইট করেন তথাগত রায়। তিনি বলেন, গান্ধীজির কাছের লোক জওহরলাল নেহরু মাংসের ভক্ত ছিলেন।
|
'কোন পশুই মাতা নয়'
ভারতের মতো প্রগতিশীল দেশে একজন অপরজনের বক্তব্যকে সম্মান করেন। কিন্তু কোনও পশুকেই তারা মাতা বলে গ্রহণ করেননি। যে কেউ পশু প্রেমি হতে পারেন, কিন্তু মানুষের ওপরে তাকে স্থান দেওয়া যায় না।
পাল্টা টুইট করেন তথাগত রায়। চন্দ্র বোসের দল( বিজেপি) একই মত পোষণ করে কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন চন্দ্র বোস। তিনি বলেছেন, যদি গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে মানুষের ওপর আক্রমণ হয়, তাহলে ছাগলের মাংস খাওয়াও বন্ধ হোক। কেননা ছাগলের দুধ খেতেন গান্ধীজি। ফলে গরুকেও ছাগলের মতো গণ্য করা উচিত।