চাপে পড়ে ক্ষমা চাইল সিইএসসি, মঙ্গলবারের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিকের প্রতিশ্রুতি
অবশেষে চাপে পড়ে সংবাদিক বৈঠক করে ক্ষমা চাইল সিইএসসি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সিইএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরশুর মধ্যে শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। লকডাউনের জন্য বাইরে থেকে কর্মী আনা যাচ্ছে না বলেই এই সমস্যা জানানো হয়েছে সিইএসসির পক্ষ থেকে।

ক্ষমা চাইল সিইএসসি
আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে তুমুল অব্যবস্থা শহরে। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। প্রতিবাদে শহরজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীও। শেষে চাপে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষমা চাইল সিইএসসি। অভিজিৎ ঘোষ ভিপি ডিস্ট্রিবিউশন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান গ্রাহকদের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু কর্মী না থাকার কারণে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা যাচ্ছে না। লকডাউনের কারণে অনেক কর্মীকে আনা যায়নি।

পরশুর মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক
সিইএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে আবাসনের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিইএসসি। কয়েকটি ধাপে কাজ করতে হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেটা করা যাচ্ছে না। পুরসভাগুলির সঙ্গেও এই নিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
আম্ফানের পর তিনদিন কেটে গেলেও শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পারেনি সিইএসসি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি জেনারেটর ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরে ধাপে ধাপে কাজ করে পুরো পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা বলেছেন। বামেরা সিইএসসিকে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিদ্যুতের দাবিতে বিভোক্ষ
আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহরের অধিকাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। জল নেই। চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। টানা তিন দিন এই অব্যবস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ শুরু হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়হায়। সোনারপুরে বিডিও অপিস ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আহত হয়েছেন সোনারপুর থানার আইসিও।