রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত! নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সার্ভিস রুল ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত রবিবার সন্ধেয় মেট্রো চ্যানেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনায় বসার পরেই তাঁর পাশে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল রাজীব কুমারকে।
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমার সর্বভারতীয় পর্যায়ের পুলিশ অফিসার। ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের অফিসার তিনি। তাঁর নিয়োগকর্তা কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় হারে বেতনও পেয়ে থাকেন তাঁর মতো সর্বভারতীয় পর্যায়ের অফিসাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিনের নির্দেশের পর কেন্দ্র অপেক্ষা করবে, রাজ্য কী ব্যবস্থা নেয় তার ওপর।
এদিন সকালে, সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করা হয় মুখ্যসচিব মলয় দে, ডিজি বীরেন্দ্র, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদেরকে নোটিসের জবাব দিতে হবে। তাঁদের জবাব খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সর্বোচ্চ আদালত। রবিবার প্রথমে রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে কাজে বাধার অভিযোগ করে সিবিআই।
রবিবার বিকেলে প্রথমে রাজীব কুমারের বাড়িতে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে সিবিআই। অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি তোলেন আদালতে সর্বোচ্চ আদালতে। বলেন ২০১৪-র সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তদন্ত করছে সিবিআই। সেই কাজে বাধা দিয়েছেন মুখ্যসচিব মলয় দে, ডিজি বীরেন্দ্র, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। পরে মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী পাশে দেখা যায় মুখ্যসচিব মলয় দে, ডিজি বীরেন্দ্র, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে।
রাজনীতি পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় প্রশাসনিক স্তরেও প্রশ্ন ওঠে, মেট্রো চ্যানেলে দলীয় অনুষ্ঠানে কী করে মুখ্যসচিব মলয় দে, ডিজি বীরেন্দ্র, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত থাকেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে ডেকে পাঠিয়ে রবিবার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্টও পাঠান। সিবিআই-এর তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।