নিশানায় নতুন সূত্র! মমতার 'কার্যকলাপ' সামাল দিতে এমনই পদক্ষেপ মোদী সরকারের
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকলাপে উদ্বিঘ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থ কমিশনের নতুন সূত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে সামিল হয়েছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকলাপে উদ্বিঘ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থ কমিশনের নতুন সূত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে সামিল হয়েছেন মমতা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পূর্ব নির্ধারিত চার বিজেপি বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সামিল হওয়ার খবরে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্র।
সোমবার অমরাবতীতে প্রতিবাদী অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক বসছে। যার উদ্যোক্তা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রের খবর, বিষয়টিকে সামাল দিতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। মে মাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে কলকাতা যাচ্ছেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এনকে সিংহ।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ১৯৭১ নয়, ২০১১ সালের জন সুমারির ভিত্তিতে আর্থিক অনুদান বন্টন করা হবে। এর অর্থ যে সব রাজ্য জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়েছে তারা কম অর্থ পাবে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য, যারা জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে তারা বেশি অর্থ পাবে। এই বিষয়টিতে কেন্দ্র করেই বিরোধ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির তৎপর হওয়ার খবরে, তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে কেন্দ্রের শাসকের অন্তরেও। বিষয়টি নিয়ে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর দাবি, নিয়মে কোনও রাজ্যই বঞ্চিত হবে না। ১৯৭১ এবং ২০১১-এই দুই জনসুমারি রিপোর্ট বিবেচনা করে দেখা হবে। যে সব রাজ্যের জনসংখ্যা বেশি তারা প্রয়োজন অনুসারে বেশি অর্থ পাবে। অন্যদিকে যেসব রাজ্য জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে, তাদেরও পুরষ্কৃত করা হবে।