সিবিআই আধিকারিকের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সিজিও কমপ্লেক্সে
সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বলেন, তিনি ও তাঁর অনেক অফিসার ঘেরাও হয়ে রয়েছেন। তিনি প্রাণসংশয় প্রকাস করায় আধা সেনা মোতায়েন হয়।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা উপস্থিত হওয়ার পরই রাজ্য বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল। সঙ্গে সঙ্গে সিবিআইয়ের রাজ্য দফতর সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলে রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বলেন, তিনি ও তাঁর অনেক অফিসার ঘেরাও হয়ে রয়েছেন।
তিনি এই ঘটনায় প্রাণসংশয় প্রকাশ করেন। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তলব করা হয়। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে শুরু করে। স্বল্পক্ষণ পরেই সিজিও কমপ্লেক্স ও নিজাম প্যালেসের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার না নেয়, নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেইমতোই নির্দেশ রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের নগরপালের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এরপর সিবিআইকে যেভাবে আটকায় কলকাতা পুলিশ, তা একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা বলে বিবেচিত হয়।
[আরও পড়ুন:চিটফান্ড কেলেঙ্কারি তদন্ত, সিবিআই বনাম পুলিশ! মামলা গড়াতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে]
সিপি রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে একেবারেই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। সিবিআইয়ের ডিরেক্টর তথাগত বর্মন-সহ অন্যান্যআধিকারিকদের নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়ার থানায়। সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলা হয় পুলিশ দিয়ে। সিবিআই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য চায়। কিছুক্ষণ পর শেক্সপিয়ার সরণি থানা থেকে সিবিআই আধিকারিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয় পুলিশ। কিন্তু নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিবিআইয়ের রাজ্য দফতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী তলব করা হয়। সেইমতো সিজিও কমপ্লেক্স ও নিজাম প্যালেস উভয় ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়।
[আরও পড়ুন:ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংবিধান বাঁচাতে মোদীর বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ]