মমতার বিরুদ্ধেই কার্যত সিবিআই তদন্ত! 'সাক্ষী'দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু
ভোট যত সামনে আসছে সারদা-রোজভ্যালি নিয়ে তদন্তও যেন জোরদার করতে চাইছে সিবিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই তদন্তে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কেনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
ভোট যত সামনে আসছে সারদা-রোজভ্যালি নিয়ে তদন্তও যেন জোরদার করতে চাইছে সিবিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই তদন্তে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কেনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তাদের অভিযোগ, ছবির সূত্র ধরেই সারদা-রোজভ্যালির টাকা গিয়েছিল তৃণমূলের মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিক্রি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ছিল এককোটি ছিয়াশি লক্ষ টাকা দিয়ে ছবি কিনেছিলেন সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। বাদ যাননি রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুও। ছবি কিনেছিলেন তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজাও। তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কিনেছিলেন বলে দাবি সিবিআই-এর। এপ্রসঙ্গে শিবাজি পাঁজাকে যেমন জেরা করা হয়েছে, ঠিক তেমনই জেরা করা হয়েছে একসময়ে তাঁরই ব্যবসায়িক অংশীদার কৌস্তব রায়কেও।
সিবিআই শিবাজি পাঁজা এবং কৌস্তভ রায়ের কাছে ছবি কেনার টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। এবং তাদের দেওয়া সূত্রও মিলিয়ে দেখার কাজ চলেছে এখন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৌস্তভ রায় জেরায় জানিয়েছেন, ২০১১ সালে তাঁদের সংস্থার মুনাফা থেকে ছবি কেনা হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবাজি পাঁজা ছবি কেনার জন্য যে টাকা দিয়েছিলেন, তা গিয়েছিল তৃণমূলের মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে। একইভাবে সুদীপ্ত সেন এবং গৌতম কুণ্ডুও ছবির বদলে টাকা দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে, দাবি সূত্রের।
[আরও পডুন: মমতার নির্দেশ মেনেছিল মাওবাদীরা! বিস্ফোরক মুকুল রায় ]
সিবিআই সূত্রের কথায়, ছবির যদি এতই দাম হবে, তবে তা সবার সামনে টানিয়ে রাখার কথা। কিন্তু এঁদের প্রায় কেউই তা করেননি। কেন সেই ছবি টানানো হয়নি, সেই প্রশ্নও সিবিআই তুলেছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন:'চাকরির প্রমোশনে 'কোটা' লাগু করতে নয়া বিল চাই', মোদীর দ্বারস্থ হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ]
অন্যদিকে, যে-সময় এইসব ছবি কেনা-বেচার কাজ হয়েছিল, সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূলের মুখপত্রের তৎকালীন প্রধান। ফলে মুকুল রায়কেও এবিষয়ে তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।