হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে তল্লাশি সিবিআইয়ের
প্রাইমাির নিয়োগ দুর্ণীতি মামলায় হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে। অর্থাৎ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন সেই রায়ই বহাল থাকল। ফলে টেট দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ে
প্রাইমাির নিয়োগ দুর্ণীতি মামলায় হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে। অর্থাৎ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন সেই রায়ই বহাল থাকল। ফলে টেট দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ের হাতেই থাকল। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দিল সিবিআই।
শুক্রবার দুপুরে তিনজনের একটি সিবিআই টিম সেখানে যান বলে জানা যাচ্ছে। তিনজনের মধ্যে একজন সিবিআই ডেটা বিশেষজ্ঞ রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
তবে ঠিক কি কারণে আজ শুক্রবার পর্ষদের অফিসে গেলেন তদন্তকারীরা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলেই জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেটা সার্ভার রুম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরদারিরতে রাখা আছে। এমনকি লক আছে বলেও সূত্রে খবর।
মনে করা হচ্ছে সেই ডেটা রুম খুলে সম্ভবত সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা পরীক্ষা করছেন বলেই খবর। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত ডেটা ওই সার্ভাররুমের হার্ডডিস্কে আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। দিল্লি এবং কলকাতার আধিকারিকরা এই বৈঠক করেন বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। আর এরপরেই তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দেয় বলে খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে দফায় দফায় জেরা করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি বলেও জানা যাচ্ছে।
সিবিআই তদন্ত হবে আদালতের পর্যবেক্ষণে। যাতে তদন্ত গতি না হারায় সেকারণে আদালেতের পর্যবেক্ষনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিয়েছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে ২৬৯ জনের যে চাকরি বাতিলের নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল সেই নির্দেশও বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌঁছে গেলেন সিবিআই আদিকারিকরা। প্রায় ঘন্টা খানেকেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে সেখানে তল্লাশি চলছে বলেই জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
শুধু একটা যুদ্ধ জাহাজই নয়... ! INS Vikrant নিয়ে আরও কী বললেন মোদী