রক্ষাকবচ উঠতেই রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই! দেওয়া হল নোটিশ
রক্ষাকবচ উঠতেই রাজীব কুমারের পার্কস্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন হাইকোর্ট রাজীব কুমারের ওপর থেকে গ্রেফতারি নিয়ে রক্ষাকবচ তুলে নেয়।
রক্ষাকবচ উঠতেই রাজীব কুমারের পার্কস্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন হাইকোর্ট রাজীব কুমারের ওপর থেকে গ্রেফতারি নিয়ে রক্ষাকবচ তুলে নেয়। তার পরেই রাজীব কুমারের বাসভবনে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের বাড়িতে গেলেও রাজীব কুমারকে পাওয়া যায়নি। তবে সিবিআই-এর তরফে নোটিশ তাঁর বাড়িতে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নোটিশে শনিবার সকাল ১০টায় তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪.৫৫। একটি গাড়িতে দুই সিবিআই আধিকারিক চলে যান ৩৪ পার্কস্ট্রিটে, রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ছুটিতে রয়েছেন রাজীব কুমার। ফলে কর্মক্ষেত্র ভবানীভবনে না গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সরাসরি বাসভবনেই যান। অন্যদিকে, হাইকোর্ট রক্ষাকবচ তুলেই রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর নোটিশ দিয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
এর আগে সিবিআই-এর নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে রাজীব কুমারের আনা দুটি আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজীব কুমারের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, রাজীব কুমারকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। কোনও স্পেশাল স্ট্যাটাস তাঁকে দেওয়া হবে না। এরপরেই নিজাম প্যালেসে বৈঠকে বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানেই ঠিক হয় রাজীব কুমারকে শুক্রবারই নোটিশ ধরানো হবে।
সিবিআই হাজিরার নোটিশ পাঠানোয় ২২ মে রাজীব কুমার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
গত
মার্চ
থেকে
সারদা
কাণ্ডে
রাজীব
কুমারের
যোগসাজস
নিয়ে
তৎপরতা
শুরু
করে
সিবিআই।
কলকাতার
প্রাক্তন
পুলিশ
কমিশনারের
বিরুদ্ধে
চিটফান্ড
তদন্তের
নথি
নষ্ট
করার
যে
অভিযোগ
উঠেছে
তার
স্বপক্ষে
কী
তথ্য
প্রমাণ
রয়েছে,
তা
নিয়ে
সিবিআইকে
নির্দেশ
দেয়
সুপ্রিম
কোর্ট।
সিবিআই-এর অভিযোগ ছিল, সারদা তদন্তে বাধা সৃষ্টি করেছেন রাজীব কুমার ছাড়াও আরও দুই শীর্ষ আধিকারিক। সিবিআই আগে অভিযোগ করেছিল সারদা তদন্তে প্রমাণ নষ্ট করেছেন রাজীব কুমার। সিবিআইকে কল রেকর্ডসের তালিকা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে জমা দিতে বলেছিল সিবিআইকে।
৩ ফেব্রুয়ারি রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাসভবনে সিবিআই অফিসাররা গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৫ ফেব্রুয়ারি সিবিআই সর্বোচ্চ আদালতে অভিযোগ জানায় কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং-এ জেরা করে সিবিআই।
এই মুহুর্তে রাজীব কুমার এডিজি সিআইডি পদে বহাল রয়েছেন।