টেট-দুর্নীতি মামলা, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের
Array
শহর জুড়ে সিবিআই তল্লাশি অভিযানে নেমেছে। প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি মামলায় সিবিআই একদম উঠে পড়ে লেগেছে তা বলা যেতেই পারে। জানা গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দুটি বাড়ি আছে বলে জানা গিয়েছে। সেই দুটি বাড়িতেই এদিন সিবিআই হানা দেয়।
ঘটনা হল গত ২১ জুন,মানিক ভট্টাচার্যের কাছে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু মানিক ভট্টাচার্যের নয়, পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং কন্যার(বিবাহ পর্যন্ত) সম্পত্তির হিসাব হলফনামা আকারে জমা দিতে বলা হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।
আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, এই হলফানামা জমা পড়ার পর আর কোনও ভাবে সম্পত্তির হিসাব দেওয়া যাবে না। এর আগে প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
নতুন সভাপতি না নিযুক্ত করা পর্যন্ত সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে দায়িত্ব সামলানোর কথা বলা হয়। পর্ষদ সভাপতি কে হবেন তা সরকারের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন বিচারপতি। এমন নির্দেশের পরেই সশরীরে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।
জানা যায়, মামলার শুনানিতে বিচারপতি একাধিক প্রশ্ন মানিকবাবুকে ছুঁড়ে দেন। সেগুলির উত্তর পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরেই মানিক ভট্টাচার্যের কাছে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের।
পরে অপসারনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে'র দ্বারস্থ হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, রক্ষাকবচ চেয়েও আবেদন জািনয়েছিলেন আদালতে। কিন্তু আদালত তাঁর মামলা গ্রহন করেনি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১। তখন অন্য ঘটনা ঘটেছিল।কলকাতা হাইকোর্টে এজলাসে দাঁড়িয়ে ক্ষমতা চাইলেন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে আগেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই কথা মেনেই অবশেষে আদালতে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্য আদালত থেকে বেরয়ে সেদিন জানিয়েছিলেন পুরো বিষয়টির নিস্পত্তি হয়ে গিয়েেছ। আদালত অবমাননার দায় থেকে এবার মুক্ত আমি। বাকি বিষয়নি তিনি কিছু বলতে চাননি। আজ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। গদি আগেই গিয়েছে। এবার তাঁর সমস্ত বাড়িতে শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের খানা তল্লাশি।