নারদকাণ্ডে সুলতান আহমেদের বয়ান রেকর্ড, কাদের নাম উঠে এল সিবিআই জেরায়
ইকবাল আহমেদের পর এবার নারদকাণ্ডে সিবিআই তলব করে তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদকে। প্রশ্নমালা তৈরি করে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়।
নারদ তদন্তে তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। সোমবার প্রশ্নমালা তৈরি করে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে জেরা করেন। ম্যাথুর কাছ থেকে তিনি কেন টাকা নিয়েছিলেন, বিনিময়ে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি, তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন সুলতান আহমেদকে জেরায় সিবিআইয়ের কাছে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে।
সোমবার ১১টা নাগাদ সুলতান আহমেদকে দ্বিতীয়বার তলব করে সিবিআই। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নির্দিষ্ট সময়মতোই তিনি পৌঁছে যান সিবিআই দফতরে। তিনি সিবিআই অফিসে ঢোকার মুখে জানান, নারদ তদন্ত তিনি সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন তদন্তকারী অফিসারদের।
এদিন না্রদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তদন্ত শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রথম প্রশ্নই ছুড়ে দেন কেন তিনি নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন? ভিডিও ফুটেজে যে জায়গায় বসে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে, সেই জায়গাটি কোথায়? এই টাকা নিয়ে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নারদ কর্তাকে? এই টাকা নিয়ে তিনি কী করেছিলেন- তাও জানতে চান তদন্তকারীরা।
এদিন তিন সদস্যের তদন্তকারীদের সামনে প্রথম দফায় টানা তিন ঘণ্টা জেরার মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। দ্বিতীয় দফায় তাঁকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই প্রশ্ন করা হয়। তাঁর বয়ানে কোনও অসঙ্গতি মেলে কি না তা জানতেই এই ব্যবস্থা সিবিআইয়ের।
জানা গিয়েছে, সুলতান আহমেদ নারদ কর্তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি তৃণমূলের এক মন্ত্রী ও দুই সাংসদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবেন। যাঁদের সঙ্গে তিনি পরিচয় করে দেবেন বলেছিলেন, তাঁরা হলেন ফিরহাদ হাকিম, দীনেশ ত্রিবেদী ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই তিনজনকে আর্থিক সাহায্যের জন্য সুপারিশ করেন। ওই টাকা নির্বাচনী প্রচারের জন্যই নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২৭ জুন প্রথমবার সুলতান আহমেদকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। পরদিন তাঁকে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি ওইদিন না হাজিরা দিয়ে তাঁর এক আইনজীবীকে পাঠান। জানান, তিনি জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় সিবিআই দফতরে যেতে পারছেন না। পরবর্তী দিনেই তিনি হাজিরা দেবেন। সেইমতো তিনি এদিন হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে।
এর আগে নারদ-কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে জেরা করে সিবিআই। জেরা করা হয় টাইগার মির্জাকেও। এরপর নারদকাণ্ডে অন্য তৃণমূল নেতাদেরও তলব করা হরতে পারে।