প্রচুর খোঁজাখুঁজির পর মিলল তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ফোন
প্রচুর খোঁজাখুঁজির পর মিলল তপন কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর মহামূল্যবান ফোন
শেষ পর্যন্ত হদিশ মিলল নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মোবাইল ফোনের । ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এই নিরঞ্জন বৈষ্ণব। তাঁরও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।। কিন্তু এর পর থেকেই খোঁজ চলছিল তাঁর ফোনের। সেটা পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের নিজের বাড়ি থেকেই সেই ফোনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই।
এর আগে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৬ এপ্রিল তাঁর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি সুইসাইড নোটে লিখে যান তাঁর মৃত্যর কারণ। যদিও এটি আত্মহত্যা নাকি রহস্যমৃত্যু তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। নিরঞ্জনের মৃত্যুর সঙ্গে তপন কান্দু খুনের ঘটনার যোগ রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে সিবিআই তদন্তের আবেদন করে কংগ্রেস।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ মান্থারের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যু ঘটনারও তদন্ত করবে সিবিআই। কারণ তপন কা্ন্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। তপন কান্দুর খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সকালে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন নিরঞ্জন। তারপর দুপুরে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর যোগ থাকায়, তা সিবিআই তদন্ত হোক বলে দাবি জানিয়ে আসছিল কংগ্রেস। হাইকোর্টে তাঁরা আবেদনও জানান সিবিআই তদন্তের জন্য। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে এই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এবার পুরনো থানায় আগুন লাগার ঘটনার তদন্তও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
উল্লেখ্য, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে। তারপরই একদিকে যেমন প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যু হয়েছে রহস্যজনকভাবে, তেমনই সোমবার ঝালদার পুরনো থানায় আগুন লেগে যায়। এই আগুন লাগার ঘটনাও পরিকল্পিত বলে দাবি কংগ্রেসের। ঝালদার কংগ্রেসর কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নথিপত্র নষ্ঠ করতেই এই আগুন লাগার ঘটনা বলে অভিযোগ ওঠে