সিবিআইকে প্রবেশে না মমতার, চন্দ্রবাবুর পথে হেঁটে বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকারের পথেই হাঁটল বাংলার মমতার সরকার। এবার রাজ্যে তদন্ত চালাতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে সিবিআইকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রকে দেওয়া অনুমতি প্রত্যাহার করে নিল। নেতাজি ইন্ডোরে মমতার সভার পরই নবান্ন জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়।

অনুমতি প্রত্যাহার
বামফ্রন্টের শাসনকালে ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিসমেন্ট অ্যাক্টে সাধারণ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রকে। ৩০ বছর পর সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নিলেন মমতা। সেইসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত জারি তৈরি হয়ে গেল সিবিআই নিয়ে।

অন্ধ্রপ্রদেশের পথে বাংলা
এদিনই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার বিজ্ঞপ্তি দারি করে জানিয়ে দেয়, সিবিআই রাজ্যে কোনও তল্লাশি করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। রাজ্য সরকারের অনুমতি ভিন্ন কোনও তদন্ত চালাতে পারবে না। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির সভায় চন্দ্রবাবু নাইডুর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিবিআইকে অনুমতি নিতে হবে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চন্দ্রবাবু নাইডু ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সঠিক কাজ করেছেন। আমিও এই আইনটা দেখে নেব। আগে এসবের প্রয়োজন ছিল না। এখন প্রয়োজন, কারণ এখন বিজেপি অফিস থেকে সিবিআইকে পরিচালিত করা হচ্ছে। এরপরই নবান্নে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। আইন খুঁটিয়ে দেখে নবান্নও বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেয় রাজ্যে ঢুকতে গেলে সিবিআইকে অনুমতি নিতে হবে মমতা সরকারের।

উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত
মমতার সভার পর নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নিরাপত্তা উপদেষ্টারা।। খতিয়ে দেখা যায়, ১৯৮৯ সালে সাধারণ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রকে। এরপরই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিবিআই-প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে, সারদা, নারদ ও রোজভ্যালি তদন্তে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।