কলকাতার নগরপালের বাড়ির সামনে হাজির সিবিআই, গ্রেফতারির আশঙ্কায় জল্পনা তুঙ্গে
এবার কি চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করবে সিবিআই? এই প্রশ্ন উঠে পড়েছিল একদিন আগেই।
এবার কি চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করবে সিবিআই? এই প্রশ্ন উঠে পড়েছিল একদিন আগেই। তা যে নেহাত অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলল রবিবারই। রবিবারই কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে হাজির হয়ে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে রাজ্য পুলিশ সিবিআইকে কমিশনারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিলেন।
সারদা ও রোজভ্যালি দুই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জন্যই রাজ্য সরকারের গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম-এর নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। সিবিআই সেই তদন্ত সংক্রান্ত নথি দাবি করেছে তাঁর কাছে। আর এরপর থেকেই গত তিনদিন ধরে রাজীব কুমারের কোনও খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ। এমনকী নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠকেও তিনি উপস্থিত হননি বলে জানা গিয়েছে।
এরপরই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে রটনা শুরু হয়। সেইমতো ৪০ জন সিবিআই আধিকারিক জড়ো হন রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে। ফের জল্পনা শুরু হয় তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে। চাপা উত্তেজনাও তৈরি হয়। সিবিআই ডিরেক্টরের নেতৃত্বে ৪০ আধিকারিকদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপর আধিকারিকরা শেক্সপিয়ার সরণিতে যান। সিবিআই আধিকারিকদের থানাতে গিয়ে কথা বলার প্রস্তাব দেন শেক্সপিয়ার সরণির ওসি।
দিন কয়েক আগেই রোজভ্যালির তদন্তে সদুত্তর না পাওয়ায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা ফিল্ম প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। সিবিআই তদন্তের কারণে দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর অফিসে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু, অভিযোগ তিনি তদন্ত প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা করেননি। এরপর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে আনা হয় এবং শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ কমিশনারও যদি প্রয়োজনীয় নথি সিবিআই-কে না দিতে পারেন, তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাঁকেও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে একইভাবে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের কেয়কজন শেক্সপিয়ার সরণিতে গেলেও কেয়কজন রাজীবকুমারের বাড়ির সামনে থেকেই যান।