কলকাতার রাস্তায় সিগন্যাল ভেঙে পরপর ধাক্কা, মৃত ৩, জখম ৭
সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়া গাড়ির পর পর ধাক্কায় মৃত তিনজন। জখম অন্তত সাতজন। আলিপুরে বেলভেডিয়ার রোডের সংযোগস্থলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর : সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়া গাড়ির পর পর ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন পথচারীর। এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ঘাতক গাড়ির চালক-সহ সাতজন। সোমবার দুপুরে ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনা ঘটে আলিপুরে বেলভেডিয়ার রোডের সংযোগস্থলে।
চিড়িয়াখানার কাছে ওই মোড় সর্বদাই ব্যস্ত। বহু পথচারীই রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। সেইসময়ই একদিকের সিগন্যাল খোলার মুহূর্তেই উল্টোদিকের সিগন্যাল ব্রেক করে একটি গাড়ি বেপরোয়াভাবে এসে পর পর ধাক্কা মারতে শুরু করে। পর পর তিনটি বাইকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয় পথচারীদের। শেষপর্যন্ত বেপরোয়া 'তাণ্ডব' চালিয়ে গাড়িটি ফুটপাতে উঠে যায়। গাড়িটি এতটা জোরেই রেলিংয়ে ধাক্কা মারে যে, গাড়ির এয়ারব্যাগ খুলে যায়। গাড়ির মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন গাড়ির চালক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, তিনজন বাইক আরোহী রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন সিগন্যালের অপেক্ষায়। তখনই ওই গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা মারে তিন বাইক আরোহী ও পথচারীদের। রক্তে ভেসে যায় রাস্তা। জখমদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জখম ১৮ জন ভর্তি শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিনজনের নাম রাজীব রায়, নারিমা খাতুন ও সুশান্ত মণ্ডল। রাজীবের বাড়ি মহেশতলার রায়পুরে, নারিমার বাড়ি ভাঙড়। সুশান্তের বাড়ির ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। গাড়িটি চালাচ্ছিলন সরোজ বারিক নামে একজন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আদৌ স্বাভাবিক ছিলেন কি না, কেন তিনি ওইভাবে বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগে একটি বাসের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে গাড়িটির। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে ছুটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আহতদের চিকিৎসাক যথাযথ ব্যবস্থা করেন।