প্রায় তিন ঘণ্টা ছাত্র আন্দোলনের পর জট কাটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে
একদিকে দিল্লিতে গত কয়েকদিনের লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের চাপে পিছু হটেছে জওহরলাল নেহেরু বিশ্বপবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তেমনই বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে অচল থাকল কলেজস্ট্রিট চত্বর। প্রায় তিন ঘণ্টা পথ অবরোধ শেষে ছাত্র ছাত্রীদের দাবি মেনে দুই পক্ষের যৌথ সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক হল পরিস্থিতি।
ভর্তির দিন পিছনোয় কলেজে-কলেজে স্নাতকে প্রথম সেমেস্টার পরীক্ষার নির্ঘণ্ট পিছিয়ে দিতে বাধ্য হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্র্যাকটিক্যাল হওয়ার কথা ছিল যে তারিখের মধ্যে, তা পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পিছিয়েছে থিওরি পরীক্ষাও। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের বদলে তা হবে তৃতীয় সপ্তাহে।
যেদিন একটা পরীক্ষা থাকবে তার পরে তিনদিন বিরতি দিয়ে আর একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয় ছাত্র-ছাত্রীরা। দেরিতে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের এর ফলে কিছুটা সুবিধা হল বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। তবে দীর্ঘ মেয়াদে আদৌও সুবিধা থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকেই তৃতীয় সেমেস্টারের এই নির্ঘন্ট নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কলেজ স্ট্রিটে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরুদ্ধ হয় কলেজস্ট্রিট চত্বর। প্রায় আড়াই ঘণ্টার অবরোধ, আন্দোলন শেষে অবশ্য স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
এদিন ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের কথা শোনেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র ছাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পরীক্ষার দিনক্ষণ ও সিলেবাস ঠিক করে। পরীক্ষা পিছনো সম্ভব নয়। কারণ, যে কোনও পরীক্ষা ও তার ফলাফলের সঙ্গে পরবর্তী ক্লাস ও পরীক্ষা সম্পর্কিত। পড়ুয়াদের পর্যাপ্ত ক্লাস ও ল্যাবরেটরিতে অনুশীলনের খামতি থাকলে তার দায় কলেজের। সে নিয়ে কিছু বলার থাকলে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে যেতে হবে। সমস্যা না মেটায় পড়ুয়ারা সন্ধ্যায় ফের কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করেন।