জেলাশাসকের 'নির্দেশনামা' নিয়ে কোন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের!
জেলাশাসকের 'নির্দেশনামা' নিয়ে কোন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের!
এবার থেকে শুধু মাত্র এক লাইনের নির্দেশ নয়। জেলাশাসককে তার নির্দেশনামায় উপযুক্ত কারণ ও যুক্তি দেখিয়ে বিস্তারিত আকারে নির্দেশ দিতে হবে। উত্তরবঙ্গের এক জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় এমনই যুগান্তকারী নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ।জেলাশাসকের স্পষ্ট নির্দেশ না থাকায় তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি।
পাশাপাশি, ৮ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকের আগের নির্দেশের পুনর্বিবেচনা করে পুনরায় নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত। এছাড়াও জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের রেজিস্টারকে সারা রাজ্যের জেলাশাসকদের এই বিষয়টি অবগত করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
জলপাইগুড়ির বাসিন্দা কোহিনুর বেগম সহ বেশ কয়েকজনের আনা মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন, জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসক শুধুমাত্র এক লাইনের নির্দেশ দিলে হবে না। সংবিধান অনুযায়ী স্পষ্ট কারণ ও ব্যাখ্যা থাকতে হবে। এবং রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসককে বিষয়টি অবগত করতে রাজ্যের আইনমন্ত্রকের রেজিস্টারকে (জুডিশিয়াল) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের রেজিস্টারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, শুধুমাত্র এক লাইনের নির্দেশ থাকলে যেকোনো বিচারই ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে অস্পষ্ট থেকে যায়। প্রাথমিক বিচারের ক্ষেত্রে জেলাশাসক তার সাংবিধানিক ক্ষমতা অধিকারী। সেই ক্ষমতা অনুযায়ী, যেকোনো বিষয়ে সমাধানের ক্ষেত্রে কোন নির্দেশ দিলে তার ব্যাখ্যা স্পষ্ট হওয়া উচিত। যাতে বাদী বিবাদী পক্ষ উভয়ই জেলাশাসকের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আইনি বিচারে সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে।
বাবু মাস্টারের ওপর হামলার ঘটনায় জ্যোতিপ্রিয়কে কাঠগড়ায় তুললেন অর্জুন