বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট
শুক্রবার এই ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

ওই কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। বিশ্বভারতী কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার মামলা করে হস্তক্ষেপ চান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরে কিভাবে বহিরাগতরা ভাংচুর চালাল ? এই ঘটনায় সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে মামলা করেন। এছাড়াও তার আবেদনে উল্লেখ করেন গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তার যে ব্যবস্থা আছে সেখানেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সিআইএসএফ নিয়োগ করার। এবং ক্যাম্পাসের আবাসিক ছাড়া যাতে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়া হয় সেই আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকেও পক্ষভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সিদ্ধান্ত মতো গত ১৭ আগস্ট শুরু হয় নির্মাণকাজও। যাকে কেন্দ্র করে মূলত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাধের শান্তিনিকেতন। ভেঙে ফেলা হয় দীর্ঘদিনের প্রাচীন বিশ্বভারতীর গেটও। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকেও ভাঙচুর চলে। যা নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।