শুভেন্দু'র বিরুদ্ধে সব FIR-এ স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলল, 'সব সন্দেহ আদালত উড়িয়ে দিতে পারে না'
কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানে দী
কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানে দীর্ঘ শুনানি শেষে এহেন নির্দেশ আদালতের। আর নির্দেশে অবশ্যই বড়সড় স্বস্তি শুভেন্দুর।
আপাতত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে CBI অদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এখনও পর্যন্ত ২৬ মোট অভিযোগ
এদিন আদালতে দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হওয়া একের পর এক এফআইআরের উল্লেখ করা হয়। বিরোদী দলনেতার তরফে আইনজীবী বলেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ৬টি FIR একই সময়। অধিকাংশ স্বতঃপ্রনোদিত ভাবে পুলিশ নিজেই করেছে বলে দাবি আইনজীবীর। এখনও পর্যন্ত ২৬ মোট অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী। এমনকি একাধিক ধারাতে এই FIR করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আইনজীবীর।
সওয়ালে প্রতিহিংসার তত্ত্ব
এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আইনজীবী বলেন, কোনও সভাতে শুভেন্দু অধিকারী কিছু বললেই এই FIR করা হচ্ছে। এমনকি বক্তব্য ধরে এই অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। র্যালির ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ তুলে এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর টুইটেও সমস্যা বলে আদালতে সওয়াল বিরোধী দলনেতার। ৪১/a নোটিশ প্রায় রোজ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে অভিযোগের ট্রেন্ড বদলাচ্ছে বলেও অভিযোগ আইনজীবীর। শুধু তাই নয়, প্রতিহিংসা করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। ফলে সমস্ত এফআইআর খারিজ করার দাবি জানান আইনজীবী। নয়তো মামলাগুলি সিবিআইকে তদন্তের জন্যে দেওয়া হোক বলেও দাবি।
সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে
অন্যদিকে এদিন পালটা সওয়াল-জবাবে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। বলেন, অন্তত সাতবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সময়, তারিখ যেদিন তিনি আসবেন সেটাই জানতে চাওয়া হয়। ৪১ এ নোটিশে সমস্যা কোথায়? রক্ষাকবচ তাকে আগেই দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন নতুন করে আবার সুবিধা পাবেন?
তবে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, তিনি বিরোধী দলের নেতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে তাঁর সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে না বলে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ আদালতের। পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে জনগনের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি মান্থা। আর এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হওয়া সব FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।