রথযাত্রা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নিষেধাজ্ঞা বাতিল! অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তুলোধনা ডিভিশন বেঞ্চের
রথযাত্রায় স্থগিতাদের নিয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদেশের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। জানিয়েদিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ করে দেওয়া হল নিষেধাজ্ঞা।
রথযাত্রায় স্থগিতাদের নিয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদেশের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। জানিয়েদিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। খারিজ করে দেওয়া হল নিষেধাজ্ঞা। আপাতত রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া না হলেও, বুধবার বিজেপির ৩ নেতার সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনের বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। বৈঠকে বসতে হবে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে। রথযাত্রার বিষয় নিয়ে সরকার এবং বিজেপির আলোচনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির শুরুতে বিজেপির আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তাদের চার চিঠিতে ভিন্ন বক্তব্যের কারণ জানতে চান বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। পরে এজিকে তুলোধনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। একমাস সময় পাওয়ার পরেও কেন প্রশাসন রথযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেনি সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলে চারটি চিঠির একটিরও জবাব দিলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। এরজন্য প্রশাসনের সমালোচনা করেন তিনি। ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রথযাত্রা কর্মসূচির তিন চতুর্থাংশই শেষ। তা কর্মসূচি দেখলেই বোঝা যায়। মন্তব্য হাইকোর্টের। সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। মামলাটিকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও হাইকোর্টের তরফে মন্তব্য করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
সওয়ালের মাঝে বিচারপতি সমাদ্দার অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, কোনও বিচারপতি কি কোনও মামলাকারীর আবেদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার
রথযাত্রা
নিয়ে
হাইকোর্টে
ধাক্কা
খায়
বিজেপি।
বৃহস্পতিবার
অর্থাৎ
রথযাত্রার
জন্য
নির্ধারিত
দিনের
আগের
দিন
হাইকোর্ট
রথযাত্রার
অনুমতি
খারিজ
করে
দেয়
আদালত।
বর্তমান
পরিস্থিতিতে
অল্প
সময়ে
নিরাপত্তার
ব্যবস্থা
করা
সম্ভব
নয়।
রাজ্যের
যুক্তি
মেনে
নেন
বিচারপতি
তপোব্রত
চক্রবর্তীর
বেঞ্চ।
এর
আগে
কোচবিহারের
রথযাত্রায়
অনুমতি
দেননি
সেখানকার
পুলিশ
সুপার।
তিনি
মুখবন্ধ
করা
খামে
রিপোর্ট
জমা
দেন
হাইকোর্টে।
প্রশাসনিক
সিদ্ধান্ত
জানার
পরেই
বিজেপির
তরফে
আইনজীবীরা
আদালতে
অতিরিক্ত
হলফনামা
দাখিল
করেন।
বৃহস্পতিবার
সকালে
একদফা
শুনানির
পর
দুপুরে
দ্বিতীয়
দফার
শুনানি
চলে
দীর্ঘক্ষণ।
আদালতে
দুপক্ষের
সওয়াল
জবাব
চলে।
অতিরিক্ত
হলফনামা
জমা
দিয়ে
পুলিশ
সুপারের
নির্দেশকে
চ্যালেঞ্জ
করা
যায়
না
বলে
আদালতে
বলেন
রাজ্যের
অ্যাডভোকেট
জেনারেল।
তিনি
বলেন,
বিজেপি
সভাপতির
মন্তব্যে
বোঝা
যাচ্ছে
কী
হতে
যাচ্ছে।
যদি
অনুমতির
প্রয়োজন
না
হয়,
তাহলে
হাইকোর্টে
কেনন,
প্রশ্ন
করেন
তিনি।
আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টকে উপেক্ষা করা যায় না। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় বিজেপি নেবে কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।