কাঁথিতে অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা! অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
কাঁথি থানায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের জন্য এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলার পরবর্তী শুনানি দুসপ্তাহ পর। তবে ঘটনার তদন্ত যেমন চলছে তেমন চলবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি কাঁথিতে বিজেপির দলীয় সভা ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেই এফআইআর খারিজের আবেদনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, ব্রজেশ ঝা জানান,' অমিত শাহের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে পুলিশ তা অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কোনও গুরুত্ব নেই এই মামলার। আসলে রাজ্য চায় না সে বাংলায় ভোট প্রচারে আসুক। তাই তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করা হোক।'
তবে এই এফআইআর খারিজের আবেদনের বিরোধিতা করেন রাজ্যের তরফে পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী অতনু গিরির বক্তব্য রেকর্ড করেছে পুলিশ। ঘটনায় অনেকে আহত হন। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের বক্তব্যও নেওয়া হয়েছে। তাঁরাও অভিযোগ করেছেন।
এপ্রসঙ্গে বিচারপতি জানতে চান, অমিত শাহ তো আগুন জ্বালিয়ে দেননি, তাহলে তার বিরুদ্ধে এই ধারা কেন? তিনি এমনকি বলেছেন, যার জন্য তার বিরুদ্ধে এফআইআর হয় ? এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, অমিত শাহের বক্তব্য উস্কানিমূলক ছিল। যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সেকারণেই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আর তার মাসুল দিতে হয় সবাইকে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। পথ চলতি বহু মানুষ আহত হন। চলন্ত বাইক থামিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূলের পার্টি অফিস, ক্লাব ঘর ভাঙচুর করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে পুলিশ তিনটি এফআইআর দায়ের করে। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি কাঁথিতে দলীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বাস ভাঙচুর হয়েছিল। উত্তপ্ত বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অমিত শাহর বিরুদ্ধে প্ররোচনায় এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করা এবং গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। সেই এফআইআর থেকে অব্যাহতি চেয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার মামলায় কেস ডায়েরি চাওয়া হয় পুলিশের কাছে।