কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত নয়! একদফায় ভোট আটকানো যেত, বার্তা হাইকোর্টের
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভি্শন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেন, কমিশন আইনি জটিলতা তৈরি করছে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভি্শন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেন, কমিশন আইনি জটিলতা তৈরি করছে। কমিশন চাইলে তিন দফার ভোট এক দফায় নামিয়ে আনা আটকাতে পারত। কমিশনের নিরাপেক্ষতা নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি।তিনি বললেন, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ভ্রু কুঁচকাচ্ছে সাধারণ মানুষও।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোট-ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রধান বিচারপতি, রাজ্য-কমিশন কি আদৌ তৈরি ]
তবে সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ায় কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। কিন্তু কমিশনের ভূমিকা সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। কমিশন নিজেই আইনি জটিলতা তৈরি করছে। সময়ে ভোট করতে হবে, কিন্তু কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চের নির্দেশ যথাযথ মানেনি কমিশন।
কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা করবে এটাই কাম্য। কিন্তু ভোট সময় মেনে করতে কমিশন এক তরফাভাবে কাজ করবে, এটা ঠিক নয়। কমিশন চাইলে এই জটিলতা কাটাতে পারত। কিন্তু সেরকম কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। হাইকোর্ট তাই ভোট প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ না করলেও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবে।
এদিন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের রায়ে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল, ভোটের নির্ঘণ্টে আপাতত হস্তক্ষেপ করছে না। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বাহিনী সংক্রান্ত মামলার উপর এই ভোটের নির্ঘণ্ট নির্ভর করছে। আপাতত মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ জানতে।
আদালত এদিন তিরস্কারের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিন, ভোট প্রক্রিয়া সম্পাদনে কমিশনের ভূমিকা যথাযথ ছিল না। এমনকী কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। হাইকোর্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করল, কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত নয়। কমিশন চাইলে একতরফা সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারত।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ অন্ধকার! বাহিনী-যুদ্ধ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়েও নিস্ফলা ]