মমতা সরকারের যুক্তি! পুজোয় অনুদান মামলায় বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
পুজো অনুদান মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। এটা আইনসভার বিচার্য বিষয়। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সরকারের বক্তব্যকেই কার্যত মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট।
পুজো অনুদান মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। এটা আইনসভার বিচার্য বিষয়। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সরকারের বক্তব্যকেই কার্যত মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট। বুধবারের রায়ের পরে অনুদান নিয়ে স্থগিতাদেশ আর কার্যকর থাকল না।
দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্তে শুক্রবার স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। প্রথমে মঙ্গলবার পরে বুধবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল।
স্থগিতাদেশ
জারি
করে
রাজ্য
সরকারের
কাছে
হলফনামা
দাবি
করেছিল
হাইকোর্ট।
রাজ্য
সরকারের
কাছে
বেশ
কিছু
প্রশ্নের
উত্তর
জানতে
চেয়েছিল
হাইকোর্ট।
১)
জনগণের
টাকা
কি
পরিপ্রেক্ষিতে
ব্যবহার
করা
হচ্ছে?
২)
জনগণের
টাকা
এভাবে
অপব্যবহার
করা
যায়
কি?
৩)টাকা
দেওয়ার
কি
কোনও
গাইডলাইন
আছে
?
কোনও
চেক
ভালভ
আছে?
৪)
সব
সম্প্রদায়ের
মূল
উৎসবে
কি
এই
ধরনের
অনুদান
দেওয়া
হয়?
৫)রাজ্যে
২৮
হাজারের
বেশি
পুজো
হলে
তারা
কি
টাকা
পাবে?
৬)
এভাবে
পুজো
কমিটি
বেছে
বেছে
টাকা
দিতে
পারা
যায়
কি?
৭)
পুরো
টাকা
খরচ
না
করতে
পারলে
বাকি
টাকা
কি
ফেরত
নিতে
পারা
যাবে?
৮)
যে
উদ্দেশ্যে
এই
অনুদান,
তা
সাধিত
না
হলে
কী
হবে?
মামলা দায়েরের দিন আদালতে উল্লেখ পর্বে জনৈক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, 'কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না রাজ্য সরকার। ধর্মীয় কাজে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তা অমান্য করছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই মামলা করা হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী বলে ওই আইনজীবী ব্যাখ্যা করেছিলেন। আইনজীবীর দাবি ছিল, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া, বিজ্ঞপ্তি জারি না করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এই অনুদান ঘোষণা সংবিধানের ১৪ ও ১৫(১) এবং ১৬৬ ধারার পরিপন্থী। এই ঘোষণা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন।
বুধবার পুজো অনুদান মামলায় রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট বলে, এটা আইনসভার বিচার্য বিষয়। রাজ্য সরকারের যুক্তিতে আদালত সন্তুষ্ট। ফলে পুজো অনুদান মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ নয়, জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানে আপাতত বাধা রইল না।
Calcutta High Court refuses to accept the PIL filed against state govt's decision to offer grants to puja committees for Durga Puja in West Bengal.
— ANI (@ANI) October 10, 2018