ভরণপোষণের জন্য স্ত্রীর মামলা! স্বামীর 'বিশেষ' আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট, কিন্তু কেন
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়িয়েছে ভরণপোষণের মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টে স্ত্রী ভরণপোষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা স্থানান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন স্বামী। যদিও আদালতের তরফে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়ে
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়িয়েছে ভরণপোষণের মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টে স্ত্রী ভরণপোষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা স্থানান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন স্বামী। যদিও আদালতের তরফে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীকে হয়রানি করতেই স্বামীর এই ধরনের আবেদন।
বিচারপতি শম্পা দত্ত (পাল) রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, স্বামীর এই ধরনের উদ্দেশ্যকে আদালতের সবসময় নিরুৎসাহিত করা উচিত।
স্বামী
আদালতে
আবেদন
করেছিলেন,
স্ত্রীর
দায়ের
করা
মামলাটি
বর্ধমান
ছাড়া
যে
কোনও
আদালতে
স্থানান্তরের
জন্য।
কিন্তু
আদালত
মনে
করছে
এর
পিছনে
কোনও
অসৎ
উদ্দেশ্য
রয়েছে।
স্ত্রী
ভরণপোষণের
দাবি
করে
বর্ধমান
আদালতে
মামলা
দায়ের
করেছিলেন।
অন্যদিকে
স্বামী
বর্ধমান
আদালতে
যা
চ্যালেঞ্জ
করেন।
তিনি
বলেন,
স্ত্রী
কলকাতার
বাসিন্দা
তাই
তিনি
(স্ত্রী)
নির্দিষ্ট
এলাকার
বাইরে
এর
আবেদন
করতে
পারেন
না।
যদিও
বর্ধমানের
বিচার
বিভাগীয়
আদালত
স্বামীর
করা
আবেদন
খারিজ
করে
দেয়।
বর্ধমান
আদালতে
করা
আবেদনে
স্বামী
আরও
বলেছিলেন,
স্ত্রী
কলকাতার
থানায়
ভারতী
দণ্ডবিধির
৪৯৮এ
ধারায়
ফৌজদারি
মামলা
দায়ের
করেছিলেন।
আর
বর্ধমান
আদালতে
ভরণপোষণের
মামলা
দায়ের
করেছেন,
তাঁকে
হয়রানি
করতে।
ওই
ব্যক্তি
আদালতে
দাবি
করেন,
হায়দরাবাদে
থাকার
সময়
স্ত্রী
তাঁর
সঙ্গে
মারামারি
করতেন।
সেই
সময়
বাবা-মায়ের
সঙ্গে
থাকতে
বাড়ি
ছেড়েছিলেন।
এইসব
ঘটনার
পরেই
তিনি
স্ত্রীর
সঙ্গে
শান্তিপূর্ণভাবে
বসবাস
করতে
চেয়েছিলেন।
যে
কারণে
হায়দরাবাদের
সিটি
সিভিল
কোর্টে
দাম্পত্য
পুনরুদ্ধারের
জন্য
একটি
আবেদনও
করেছিলেন।
আদালতে
স্বামী
দাবি
করেছেন,
কলকাতার
বাঁশদ্রোণীতে
স্ত্রী
ও
তাঁর
বাবার
বাসস্থান।
ভুল
উদ্দেশ্য
নিয়ে
স্ত্রী
ভরণপোষণের
মামলা
দায়ের
করেছেন
বলেও
আদালতে
দাবি
করেছিলেন
ওই
ব্যক্তি।
তাঁর
আরও
দাবি,
স্ত্রী
বর্ধমানে
এই
কারণে
মামলা
করেছেন,
যাতে
তিনি
(স্বামী)
কলকাতায়
দায়ের
করা
মামলা
প্রত্যাহার
করেন।