টেট উত্তীর্ণ না হয়েও চাকরি? অনুব্রত কন্যা সুকন্যা সহ ছয়জনকে আদালতে তলব
পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর মেয়ের চাকরি নিয়ে ইতিমধ্যে কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। এবার অনুব্রত মন্ডলের মেয়ের চাকরি পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।
পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর মেয়ের চাকরি নিয়ে ইতিমধ্যে কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। এবার অনুব্রত মন্ডলের মেয়ের চাকরি পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেও অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা।
শুধু মেয়েই নয়, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অন্তত পাঁচজন টেট না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে অভিযোগ জানান। আর এরপরেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুকন্যা মন্ডল এবং বাকি ৫ জনকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৩ টের মধ্যে সশরীরে অনুব্রত কন্যা সব পাঁচজনকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের টেট পাশের সংসাপত্র ও নিয়োগ পত্র আনতে হবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কেউ যদি না আসে তাহলে কড়া ব্যবস্থার অঙ্গিত হাইকোর্টের।
এহেন নির্দেশ নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন শিক্ষা দফতর ল্যাজে গোবরে কার্যত শিক্ষা দফতর, একেবারে কোমর বেঁধে তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সময়ে এই দুর্নীতি মামলাতে নাম জড়িয়ে গেল অনুব্রত কন্যা সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের।
অভিযোগ, বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের পরিবারের ৬জন সদস্য টেট উত্তীর্ণ না হয়েও চাকরি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে সুকন্যা যেমন রয়েছেন তেমন অনুব্রত মন্ডলের ভাই, ভাইপো, কেষ্টর আপ্ত সহায়ক সহ দুই ঘনিষ্ঠ রয়েছে। তাঁরা হলেন, সুমিত মন্ডল (অনুব্রতের ভাই) , অর্ক দত্ত (পিএ), সাত্যকী মন্ডল (ভাইপো) , কস্তুরী চৌধুরী (ঘনিষ্ঠ) , সুজিত বাগদি (ঘনিষ্ঠ)।
আইনজীবি ফিরদৌস শামীমের অভিযোগ, এদের কেউই টেট পাশ করেনি। কিন্তু বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ। এরপরেই আদালত ছয়জনকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীর আরও অভিযোগ, বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে ছিলেন সুকন্যা। যা কিনা বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিট দূরত্বের মধ্যেই বলেও অভিযোগ আইনজীবীর।
শুধু তাই নয়, অনুব্রত কন্যা তিনি নাকি কোনও দিন বিদ্যালয়ে যাননি বলেও দাবি। উলটে উপস্থিতির রেজিষ্টার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানো হত। আর তা সই করে দিতেন বলে অভিযোগ। আর এই সমস্ত অভিযোগ আইনজীবী আদালতে করা মাত্র কার্যত স্থম্ভিত হয় আদালত।
তবে অনুব্রত কন্যার চাকরি পাওয়া নিয়ে কিছুই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানতেন না বলে জানিয়েছেন।