হাইকোর্টের নির্দেশে আপাত স্বস্তিতে বিজেপি নেতা কৈলাশ-মুকুল-অর্জুন-রাকেশ
হাইকোর্টের নির্দেশে আপাত স্বস্তিতে বিজেপি নেতা কৈলাশ-মুকুল-অর্জুন-রাকেশ। আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তদন্তের ওপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ নভেম্বর।

প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা। যা ঘিরে চূড়ান্ত উত্তেজনা তৈরি হয় কলকাতায়। অভিযোগ, মিছিলের উপর যথেচ্ছ জলকামান চালিয়েছে পুলিশ। সেই জলে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল মেশানো ছিল বলেও বিজেপি অভিযোগ করেছে। অন্য দিকে বিজেপি কর্মীরাও দিকে দিকে পুলিশকে আক্রমণ করেছে বলে প্রশাসনের অভিযোগ। ইটবৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হাওড়া ময়দানে বোমাবাজি হয়েছে। একজন কর্মীর কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলেও অভিযোগ।
নবান্ন অভিযানে বেআইনি জমায়েত করার অভিযোগে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হেস্টিংস থানার পুলিশ। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়-সহ বিজেপির ২৫ জনেরও বেশি নেতার বিরুদ্ধে ৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়। এছাড়াও এফআইআর-এ নাম রয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, রাকেশ সিং, জয় প্রকাশ মজুমদার, ভারতী ঘোষ, বিশ্বজিত্ ঘোষ, বিপুল সরকার-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার। এই নেতারা বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের সময় আইনভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি অপরাধীরাও পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। এতে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং সাধারণ মানুষকে অসুবিধের মুখে পড়তে হয় বলে এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে, লোহার ব্যারিকেট, কাঠের শিল্ড, লোহার ফেস শিল্ডের মতো সরকারি সম্পত্তি বিজেপি নেতারা নষ্ট করেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। একগুচ্ছ অভিযোগ এনে মোট সাতটি এফআইআর দায়ের করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। সেই এফআইআর কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতা- নেত্রীরা।

বিহার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতে আজ মধ্য়রাত গড়াবে! দুপুর ১ টা পর্যন্ত কী পরিস্থিতি