
শিক্ষার পর এবার স্বাস্থ্য! ৭২৫ সরকারি পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে হাইকোর্টের কমিটি
শিক্ষার (education) পরে এবার রাজ্যে স্বাস্থ্যেও (health) নিয়োগে (recruitment) দুর্নীতির অভিযোগ। এব্যাপারে একজন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী নম্বরে বৈষম্যের অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা করেন। তারই প্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্টের তরফে তিনজনের কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।

২০১৮-তে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
২০১৮ সালে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্টের ৭২৫ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। অনলাইনে আবেদন জমা পড়ে। কোনও লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই২০১৯ সালে নথি যাচাই এবং ইন্টারভিউ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়ে যায়।

নম্বরে বৈষম্যের অভিযোগ
মামলাকারীর দাবি, তিনি এমএসসি পাস করেছেন। কিন্তু তাকে মেডিকেল টেকনোলজিতে এক বছরের ডিপ্লোমা করেছেন, এই যোগ্যতা দেখিয়ে ১২ নম্বর দেওয়া হয়। অথচ কিছু বিএসসি পাশ করা প্রার্থীকে ল্যাব টেকনোলজির যোগ্যতা দেখিয়ে ১৫ নম্বর দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেয় স্যাট। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

তিন সদস্যের কমিটি হাইকোর্টের
অভিযোগকারীর আবেদনে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্টের তরফে এদিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি অভিযোগের তদন্ত করবে।
কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস ছাড়াও থাকবেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। মামলার ফলাফলের ওপরে নির্ভর করবে চাকরিরতদের ভাগ্য। হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, তাঁরা তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করবেন।

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব এবং এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জ্বলন্ত উদাহরণ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু ব্যক্তিদের বেছে বেছে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ব্লু - আইড হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কোনভাবেই কোনও ব্যক্তির অসংবিধানিক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সত্য খুঁজে বার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর আগে গ্রুপ ডি মামলায় বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গড়েছিলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যসভায় মনোনীত অ্যাথলিট পিটি উষা-সহ ৪ জন! অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী