
আনিস খান মৃত্যু মামলা: সিবিআই-এর প্রয়োজন নেই, সিটের ওপরেই আস্থা হাইকোর্টের
হাওড়ার যুবক আনিস খানে (Anish khan) অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার তদন্তে সিবিআই (CBI) নয়, সিটের (SIT) ওপরেই আস্থা রাখছে হাইকোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি রাজশেখর পান্থা বলেছেন, এই মামলা যে জায়গায় রয়েছে, তাতে তিনি মনে করছেন না, তা সিবিআই-এর হাতে যাওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারপতি রাজ্যের আবেদনেই সায় দিলেন।

সিটই চার্জশিট পেশ করবে
আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত মামলা কার হাতে যাবে, তা নিয়ে রায় দিতে গিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত তদন্তের যা গতি প্রকৃতি তাতে তিনি মনে করছেন না, তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সিটই চার্জশিট জমা দিক এবং পরবর্তী তদন্ত চালিয়ে যাক।

ডিভিশন বেঞ্চে যাব, বললেন আনিসের বাবা
এদিনে এই রায় শোনার পরে আনিস খানের বাবা সালেন খান জানিয়েছেন, এই রায় দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তারা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন। সেখানেো না হলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও যাবেন বলে জানিয়েছেন সালেম খান।

আনিসের মৃত্যু তদন্ত নিয়ে আদালতে সওয়াল
প্রসঙ্গত আনিস খানের মৃত্যু তদন্ত চালাতে গিয়ে সিট হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও সাসপেন্ড করা হয়েছিল আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে। বসিয়ে দেওয়া হয় এক হোমগার্ডকে। যাঁরা ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে টহলদারিতে ছিলেন।
গত এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে হাইকোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করে সিট। আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, পড়ে গিয়ে আনিস খানের মৃত্যু হয়েছে। আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন পুলিশি তল্লাশি আইন মেনে করা হয়নি। পাল্টা আনিস খানের আইনজীবী অভিযোগ করেন, সিট মূল অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

দেওয়া হয়েছিল টাকা ও চাকরির প্রস্তাব
আনিস খানের বাবা সালেম খান জানিয়েছিলেন, ছেলের মৃত্যুর পরে তাঁকে কেনার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি মাথা বিক্রি করেননি। পরিবারকে দুটো সরকারি চাকরি এবং পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তৃণমূলের তরফে দুই নেতা মন্ত্রী পুলক রায় এবং কৌস্তভ রায় তাঁর কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সালেম খান।

আনিস হত্যাকাণ্ড
ঘটনাটি ঘটে ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে। তাঁর বাবা সালেম খানের অভিযোগ, রাতে পুলিশের পোশাক পরে ৪ জন বাড়িতে আসে। তার আগে ওইদিন স্থানীয় এক জলসায় গিয়েছিলেন। গভীর রাতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাত প্রায় ১ টা নাগাদ ৪ জন তাঁদের বাড়িতে যান। চারজনের মধ্যে একজনের পুলিশের পোশাক আর বাকি তিনজনের জলপাই রঙের পোশার পরা ছিল।
সালেম খানের অভিযোগ এরাই আনিসকে তিনতলায় নিয়ে যায়। এবং সেখান থেকে ফেলে দেয়। এই মৃত্যুর ঘটনার পরেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তদন্তের জন্য সিট গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Yoga Day 2022: মহাবিশ্বে শান্তি আনে যোগ! মাইসোরে যোগা দিবস উদযাপনে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী