গঙ্গারামপুরের শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় রায় কলকাতা হাইকোর্টের
গঙ্গারামপুরে এক শিক্ষিকাকে মারধর ও তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানোর মতো ঘটনাকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আক্ষা দিয়ে শিক্ষিকার ও তাঁর পরিবারের সুরক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষিকা ও তার পরিবারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণের ডিভিশন বেঞ্চ।
পাশাপাশি, প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আদালতের স্পষ্ট বার্তা শিক্ষিকার পরিবারে কোনওরকম নিরাপত্তাহীনতা বরদাস্ত করা হবে না। সম্পত্তি রক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ওই নিগৃহীতার। ব্যক্তিমালিকানার সম্পত্তি জোর করে দখল করা যায় না বলে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ও যদি জমি নিতে হলে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই তা নিতে হবে প্রশাসনকে।'এদিন গঙ্গারামপুরের ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের নিয়ম মেনে জমি অধিগ্রহণের পরামর্শ প্রধান বিচারপতির।
উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুরে এক মহিলাকে মারধর ও তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানোর ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবং এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়েরে আর্জি জানান। তারই প্রেক্ষিতে দক্ষিন দিনাজপুরের লিগাল সার্ভিস অথরিটি-র কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। যত দ্রুত সম্ভব জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যানের কাছে ওই ঘটনার নিয়ে রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দেয় আদালত।