আদালতে ধাক্কা শুভেন্দু অধিকারীর! হাইকোর্টে খারিজ রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মামলা দায়ের করেছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা পাওয়ার পরে হাইকোর্টে এব্যাপারে অভিযোগ দা
রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মামলা দায়ের করেছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা পাওয়ার পরে হাইকোর্টে এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।
৭ জানুয়ারি লালগড়ে ঢুকতে বাধা পেয়েছিলেন শুভেন্দু
২০১১-র নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতি বছরেই সেখানে গিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানকার শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে এবার ঝিটকার জঙ্গলের কাছে তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। সেখান থেকে ফিরে বিনপুরের মাঠে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকে বলেছিলেন হাইকোর্টের নির্দেশে তার নেতাই যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তার জন্য নিরাপত্তা দিতেও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপরেও পুলিশ কীভাবে তাঁর রাস্তা আটকায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
জুনে আদালত অবমাননার রুল জারি
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিপি ছাড়াও ঝাড়গ্রামের এসপি এবং অ্যাডিশনাল এসপির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ৩০ জুলাই তাঁদের আদালতের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি শোকজের জবাব দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কথা দিয়ে কথা না রাখার জন্য এজিকে ভর্ৎসনাও করেছিলেন বিচারপতি।
আদালতে রাজ্যের সওয়াল
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালত অবমাননার অভিযোগ খারিজের দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার এবং নিরাপত্তার কারণেই শুভেন্দু অধিকারীকে ওই সময় নেতাইয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, একজন নাগরিকের দেশের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই কিংবা বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন নেই।
অবশেষে মামলা খারিজ
এদিন অবশ্য বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করে দেন। এক্ষেত্রে রাজ্য তথা ডিজিপির যুক্তিতে আদালত সন্তুষ্ট, যে কারণে মামলা খারিজ হয়ে হিয়েছে। আদালতের এই রায়ে বিরোধী দলনেতা ধাক্কা খেলেন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।