তিনদিনের ধর্মঘট ঠেকাতে রবিবার ফের সরকার–বাস মালিক বৈঠক
তিনদিনের ধর্মঘট ঠেকাতে রবিবার ফের সরকার–বাস মালিক বৈঠক
ফের নাজেহাল হতে হবে শহরের নিত্য যাত্রীদের। কারণ চলতি মাসের তিনদিন লাগাতার বাস ধর্মঘট চলবে। আগে থেকে যাতে এই ধর্মঘট প্রতিরোধ করা যায় তাই রবিবার বৈঠকে বসবে পরিবহণ দপ্তর। রবিবার বিকেল ৩টের সময় পরিবহণ দফতরের ময়দান টেন্টে হবে এই বৈঠক। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বৈঠকে থাকবেন পরিবহণ দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা। মোদ্দা কথা তিনদিনের বাস ধর্মঘট আটকাতে মরিয়া রাজ্য সরকার।
বাস
মালিকরা
আগেই
জানিয়েছিলেন
যে
তাঁদের
ভাড়া
বৃদ্ধির
দাবি
না
মানা
হলে
তাঁরা
আন্দোলনের
পথকেই
বেছে
নেবেন।
সেই
অনুযায়ী
তাঁরা
২৮,
২৯
ও
৩০
জানুয়ারি
৩দিনের
জন্য
বাস
ধর্মঘটের
ডাক
দেন।
বাস
মালিকদের
দাবি
আসের
নুন্যতম
ভাড়া
করতে
হবে
১৪
টাকা।
সেই
দাবি
পূরণের
জন্য
একযোগে
৫টি
সংগঠন
তিনদিনের
ধর্মঘটের
ডাক
দিয়েছে।
রবিবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য পরিবহণ দফতরের তরফে মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সচিব বা সভাপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবাবন্ধ ছিল। কারণ মানুষ সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে আনলক পর্যায়ে করোনার বিধি নিষেধ মেনে বাস পরিষেবা চালু করা হয়। সেই সময় ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। তখন রাজ্য সরকার কোনওমতে তা ঠেকা দিয়ে রাখলেও এখন জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পর ফের ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানাচ্ছে বাস সংগঠনগুলি। বাস মালিকরা জানিয়েছেন যে জিএসটির কারণে ডিজেলের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার ফলে ভাড়া বৃদ্ধি না করলে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠক হয় বাস ও মিনিবাস সংগঠনগুলির। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বাসের ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে হবে। অর্থাৎ বাস উঠলেই দিতে হবে ১৪ টাকা! সরকার সেই দাবি না মানলে বাসরুট বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন মালিকরা। গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত সরকারকে তাঁরা সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন।
মোদীর উপস্থিতিতে ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও অনুপস্থিত টলিউডের দুই তারকা! জল্পনা তুঙ্গে