পুজোর রঙে মাতল মন, শতাধিক অনাথ শিশুর হাতে উঠল উপহার
পুজো মানেই হইচই, নতুন পোশাকে গন্ধ, খাওয়াদাওয়া। কিন্তু এই পৃথিবীর বাইরেও এক পৃথিবী রয়েছে। অনাথ শিশুদের জগতে এত আনন্দ তো থাকে না।
সামাজিক এক পদক্ষেপ, তবে কোনও রাজনৈতিক রঙের তলায় নয়। রবিবার সোদপুরে এরকমই এক কর্মসূচির আয়োজন হয়েছিল। জীবনের চাপে প্রতি মুহূর্তে যখন মানুষ ছুটে চলেছে, তখন দুর্গাপুজো একটা অন্য আমেজ নিয়ে আসে।
তবে এই পুজোও সবার জীবনে একইরকম আনন্দ এনে দেয় না। তবে কিছুটা আনন্দের স্বাদ সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু মানুষ কাজ করে চলেন।
রানার ছুটেছে
বাংলার বিখ্যাত এক গানের দুটি শব্দ নিয়ে নিজেদের সংস্থা 'রানার ছুটেছে' গড়ে তুলেছেন বেশ কিছু তরুণ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজে এঁরা এগিয়ে আসেন। পুজোর সময় তাঁরা কী করে পিছিয়ে থাকেন। তাই এই পুজোর আগেও তাঁরা এক দারুণ কাজের উদ্যোগে নিচ্ছেন।
হাসি ফোটানোর উদ্যোগ
নয় নয় করে একটা নয়, দুটো নয় ১৩০ জন বাচ্চার হাতে তুলে দেওয়া হল পুজোর জামা। এই সমস্ত বাচ্চা যাঁরা সমাজের মূল স্রোত থেকে অনেকটা দূরে। অনাথ আশ্রমে বড় হয় এঁরা। এঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হল পুজোর নতুন জামা।
আয়োজন ছিল খাওয়াদাওয়ারও
এই শিশুরা থাকেন গোবিন্দ হোম নামের এক অনাথ আশ্রমে। নিয়মমাফিক খাওয়া দাওয়া সবই হয়, কিন্তু পুজোর সঙ্গে নতুন জামার মত জম্পেশ খাওয়াদাওয়ায় একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। তাই আয়োজকরা বিশেষ খাওয়াদাওয়ারও ব্যবস্থা করেছিল।
শিক্ষার সঙ্গী
শুধু খাওয়াদাওয়া বা জামাকাপড়ই নয়, এই শিশুদের পড়াশুনোর জন্য টেবল -চেয়ারও দেওয়া হয়েছে। সৌম্যব্রত দে, হীরক চক্রবর্তী, জয় বন্দোপাধ্যায়, বাপ্পা গঙ্গোপাধ্যায়দের মত পড়াশুনোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ওঁদের চেয়ার-টেবলও তুলে দেওয়া হল। কারণ এই গ্রুপে সবাই স্বপ্ন দেখেন এই শিশুরা একদিন বড় হয়ে সমাজের মূলস্রোতে যোগ দেবেন।
ওঁদের স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে এমনটাই আশা সকলেরই। তবেই সার্থক হবে আমাদের দুর্গাপুজো, যখন প্রতিটা মেয়ে দুর্গার মত নিজেদের সম্মান আদায় করে নিতে পারবেন।