বুদ্ধ-বিমান যুগের অবসান! নবীনোদয়ে রক্তক্ষরণ রোখার শেষ চেষ্টা বঙ্গ সিপিএমে
বঙ্গ সিপিএমকে নতুন ভাবে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সম্মেলনে। নতুন নীতি নিয়ে এগোচ্ছে সিপিএম। তার ফলস্বরূপ রাজ্য কমিটিতে এবার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-বিমান বসুদের।
শূন্য থেকে শুরু করার পক্রিয়া শুরু হয়ে গেল সিপিএমে। ত্রিপুরা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে এখন টিম টিম করে জ্বলছে শুধু কেরলে। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে বঙ্গ সিপিএমকে নতুন ভাবে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সম্মেলনে। নতুন নীতি নিয়ে এগোচ্ছে সিপিএম। তার ফলস্বরূপ রাজ্য কমিটিতে এবার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-বিমান বসুদের। তবে তাঁরা আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকবেন রাজ্য কমিটিতে।
এবার বিমান বসুদের সরিয়ে তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন নব প্রজন্মের নেতারা। অন্তিমকালে শূন্য থেকে শুরু করে ইমারত গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করল সিপিএম। শুধু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-বিমান বসুরাই নন, বাদের তালিকায় রয়েছেন গৌতম দেব, দীপক সরকার, দীপক দাশগুপ্ত, শ্যামল চক্রবর্তী, মদন ঘোষরা। মূলত বয়স ও অসুস্থতার কারণেই তাঁদের বাদ পড়তে হচ্ছে।
এছাড়াও সিপিএমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৭৫ বছর বয়স হলেই রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তে হবে। দলে বৃদ্ধতন্ত্র হটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্লেনামে। আর কলকাতা প্লেনামের পর প্রথম বঙ্গ সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। মোট কথা নতুনভাবে দলকে সাজাতে চায় বঙ্গ সিপিএম। আর পঞ্চাত্তরের গেরোয় পরেই নবীন হয়ে উঠছে প্রবীণ সিপিএমের দল।
কিন্তু এখানেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও বিমান বসুদের জায়গা নেওয়ার মতো তরুণ প্রজন্ম কোথায়! একজনও উঠতি নেতা নেই, যিনি বঙ্গ সিপিএমের মুখ হতে পারেন। পক্ক কেশের নেতাদের তো বাদ দেওয়া হবে, কিন্তু কালো কুচকুচে চুলের নেতাদের কাঁধে দলের দায়িত্ব দিয়ে কি রক্তক্ষরণ রোখা সম্ভব হবে? উত্তর মিলবে ভবিষ্যতেই।
উল্লেখ্য, সিপিএম রাজ্য কমিটিতে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭৫। এঁদের মধ্যে ১০ জন নেতা রয়েছেন ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে। এই ১০ জন বাদ পড়ছেনই। আর অসুস্থতার কারণে বাদ পড়ছেন গৌতম দেবের মতো অনেকে। সিপিএম রাজ্য কমিটিতে ৬০ শতাংশই ৫০ থেকে ৭০ বয়সী নেতার ভিড়। ইতিমধ্যে অন্য দলে ব্যাটন চেঞ্জ হয়েছে। এবার ৭৫-র গেরোয় ব্যাটন বদল হতে চলেছে বঙ্গ সিপিএমে।