পরিবারের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা হাইকোর্টে! ভাইদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক, মমতার মন্তব্যে জল্পনা
তৃণমূল (Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাইদের (Brother) সম্পত্তির বিপুল বৃদ্ধির অভিযোগ করে হাইকোর্টে (High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে
তৃণমূল (Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাইদের (Brother) সম্পত্তির বিপুল বৃদ্ধির অভিযোগ করে হাইকোর্টে (High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তেরও দাবি করা হয়েছে। এদিন এব্যাপারে দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি একা থাকেন। আর ভাইদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক উৎসবের।
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অভিযোগে মামলা
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার বিশেষ করে তাঁর ভাইদের সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অভিযোগ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এদিন তিনি বলেছেন, তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর থেকে বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিভিন্নজনের সম্পত্তি দ্রুত গতিতে বেড়েছে। তিনি বলেছেন ২০১৩ সালেই রাজ্যে ভুয়ো অর্থলগ্নিকারী সংস্থার কার্যকলাপ ফাঁস হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন একদিকে যেমন বাজারের থেকে কম দামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, ঠিক তেমনই কোটি কোটি টাকা ট্রাস্টের মাধ্যমে সরানো হয়েছে।
কাজরী-সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ
এব্যাপারে গত ডিসেম্বরে কলকাতায় পুরসভায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হওয়া মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে সমাজ সেবা করে একজন ৫ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হতে পারেন, মামলায় প্রশ্ন রাখা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এবং স্বামী সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব দিলেও, ছেলের কোনও সম্পত্তির হিসেব দেননি। ছেলের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায়।
নিজের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া
এদিন এই মামলা এবং নিজের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, কলকাতা হাইকোর্টে নয়, তাঁর বিচার যেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে হয়। গত ১২ বছর তিনি প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে পেনশন নেন। যার পরিমাণ প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা করে। পাশাপাশি গত ১২ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হলেও পারিশ্রমিক হিসেবে কোনও টাকা নেননি। সব কিছু ভাতা যোগ করে যার পরিমাণ প্রতিমাসে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মতো বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কোথাও গেলেও চায়ের পয়সাটাও তিনি নিজেই দিয়ে দেন।
ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন
হাইকোর্টে
করা
মামলায়
অভিযোগ
উঠেছে
মূলত
মুখ্যমন্ত্রীর
ভাইদের
বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছেন,
একমাত্র
তাঁর
মা
যতদিন
বেঁচে
ছিলেন
ততদিন
তাঁর
কাছে
ছিলেন।
তা
ছাড়া
ভাইদের
বিয়ে
হয়ে
যাওয়ার
পর
সবার
সংসারই
আলাদা।
প্রত্যেকে
আলাদা
আলাদা
থাকে।
কারও
সঙ্গে
কারও
সম্পর্ক
নেই
বলে
জানান
মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর
সঙ্গে
ভাইদের
কেমন
সম্পর্ক
বোঝাতে
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
সেই
সম্পর্ক
হল
উৎসবের।
সম্পর্ক
হল
কালীপুজো-ভাইফোঁটার
কিংবা
রাখির।
এর
বাইরে
কোনও
সম্পর্ক
নেই।
রাজ্যের
বিরোধীরা
বলছেন,
মুখ্যমন্ত্রীর
এই
কথা
বলার
অর্থ
কোনও
ভাইয়ের
আর্থিক
বৃদ্ধি
হিসেব
বহির্ভূত
হলে,
তার
সঙ্গে
তাঁর
(মমতা)
কোনও
সম্পর্ক
নেই।