সৌজন্যে সুদীপের গ্রেফতারি, দলের বিধি ভেঙে তৃণমূল ফিরল বনধ-অবরোধের রাজনীতিতে
বিরোধী থেকে শাসক হয়ে অবরোধ-বনধের রাজনীতিকে শিকেয় তুলেছিল তারা। আবার ঠেলায় পড়ে সেই অবরোধ-অচলের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করল।
কলকাতা, ৪ জানুয়ারি : তৃণমূল ফিরল অবরোধের রাজনীতিতে। সৌজন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি। জেলায় জেলায় রেল অবরোধ থেকে শুরু করে কার্যত বাংলা অচলের রাস্তাতে হেঁটেই আন্দোলন জোরদার করল তৃণমূল। বিরোধী থেকে শাসক হয়ে অবরোধ-বনধের রাজনীতিকে শিকেয় তুলেছিল তারা। আবার ঠেলায় পড়ে সেই অবরোধ-অচলের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করল।
বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধের বিরোধিতার কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। অবরোধ, অচলের রাজনীতিকে গুডবাই জানিয়ে আলাপ-আলোচনায় সমাধানের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে তৃণমূল। কিন্তু রোজভ্যালি কাণ্ডে দলের হেভিওয়েট নেতা তথা দীর্ঘদিনের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর সেই বাঁধ ভেঙে গেল। দলীয় বিধির বাইরে গিয়েই বাংলা অচল করে দিল তৃণমূল।
এদিন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বুধবার সকালে থেকে দফায় দফায় অবরোধ হয়। জেলা থেকে শুরু করে কলকাতাতেও রেল অবরোধ করে দেয় তৃণমূল। শিয়ালদহ ডিভিশনের কাঁকুড়গাছিতে বিধায়ক পরেশ পাল নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রেল অবরোধ করেন। ডানকুনি থেকে শুরু করে দুর্গাপুর, কোচবিহার থেকে কাঁকুড়গাছি- সর্বত্রই রেল অবরোধ হয়।
শুধু রেল অবরোধই নয়, জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল সমর্থকরা। ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ-কর্মসূচি চলতে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। শহর কলকাতাতেও সঞ্জয় বক্সির নেতৃত্বে মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। শবযাত্রা করে, খই ছড়িয়ে ধর্মীয় রীতি মেনে উতত্র কলকাতার রাস্তায় অভিনব
প্রতিবাদে
সামিল
হন
তৃণমূল
কর্মী-সমর্থকরা।
২
নম্বর
জাতীয়
সড়ক,
৩৪
নম্বর
জাতীয়
সড়কে
বিক্ষোভ
প্রদর্শন
করা
হয়।
কাঁকুড়গাছি
ছাড়াও
কোচবিহারে
ঘুঘুমারিতে
রেল
অবরোধ
করে
তৃণমূল
কংগ্রেস।
এড়জেপি-বামনহানা
প্যাসেঞ্জার
ট্রেনটিকে
সকাল
১১টা
থেকে
দু'ঘণ্টা
আটকে
রাখা
হয়।
তৃণমূল
দাবি
তোলে,
যতক্ষণ
না
সুদীপ
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
মুক্তি
দেওয়া
হচ্ছে
ততক্ষণ
অবরোধ
চলবে।
একপ্রকার
রেল
ধর্মঘটের
রূপ
নেয়
এদিন
বিভিন্ন
এলাকা।
রেল
অবরোধ
হয়
আলিপুরদুয়ারেও।