শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেবে পর্ষদ, বিধানসভায় শিক্ষা বিলে সংশোধনী আনছে সরকার
আর বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির হাতে থাকবে না শিক্ষক নিয়োগের অধিকার। এবার থেকে মধ্যিশক্ষা পর্ষদই শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেবে সরাসরি।
কলকাতা, ৩ মার্চ : স্বাস্থ্য বিল নিয়ে হইচইয়ের মাঝেই বিধানসভায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিলও আসতে চলেছে। বিধানসভায় এই বিল পেশ হওয়ার পর আর বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির হাতে থাকবে না শিক্ষক নিয়োগের অধিকার। এবার থেকে মধ্যিশক্ষা পর্ষদই শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেবে সরাসরি। এমনকী শিক্ষকদের বদলির ব্যাপারটিও পরিচালন সমিতির হাত থেকে কেড়ে দেওয়া হচ্ছে পর্ষদকে।
বিধানসভায় এই শিক্ষা বিল পেশের ফলে ১৯৬৩ সালের মাধ্যমিক শিক্ষা আইন সংশোধিত হচ্ছে। সেই সংশোধনীতেই থাকছে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতির বদল। আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চিঠি নিয়ে সরাসরি স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে যেতে হবে না নবনিযুক্ত শিক্ষককে। এবার শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদই। উল্লেখ্য আগে, ওই শিক্ষক কমিশনের চিঠি নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগপত্র দিত।
রাজ্য সরকার বর্তমানে মনে করছে ওই প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সমূহ সম্ভাবনা ছিল। অনিয়ম হতও। অনেকক্ষেত্রই কমিশনের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে অনেক শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার আর সেই অবকাশ রইল না। নিয়ম বদলে পর্ষদ থেকই নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে যাবেন শিক্ষক।
শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির লাগাম ধরতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। নিয়োগের পাশাপাশি বদলির ক্ষেত্রেও পর্ষদই শেষ কথা বলবে। রাজ্য সরকার বলছে এতে রাজনীতি কমবে। বিরোধীরা উল্টো সুরে জানাচ্ছে, রাজনীতি তো কমবেই না, বরং রাজনীতিকে কুক্ষিগত করতেই এই বিল আনা হচ্ছে। তাঁদের যুক্তি সরকার মনোনীত ব্যক্তিই পর্ষদ নিয়ন্ত্রণ করেন। পর্ষদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার অর্থ সরকারের নিজের হাতেই তা রাখা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির রাশ নিজের হাতে রাখতে বিল পাস করেছে সরকার। এবার হাত বাড়াল স্কুলে।