দিলীপের ‘ঘরে’ই ভাঙন! তীব্র অসন্তোষে ‘বিদ্রোহী’ বিজেপি কর্মীদের যোগদান তৃণমূলে
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘ঘরে’ই ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দিলীপ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্র খড়গপুরের বিজেপি নেতা-কর্মীরাই তৃণমূল ভবনে এসে যোগদান করলেন ঘাসফুলশিবিরে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের 'ঘরে'ই ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দিলীপ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্র খড়গপুরের বিজেপি নেতা-কর্মীরাই তৃণমূল ভবনে এসে যোগদান করলেন ঘাসফুলশিবিরে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, খড়গপুর কেন্দ্রের প্রায় ৫০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী এদিন বিজেপি ছেড়ে তাঁদের দলে যোগদান করেন।
বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ যখন বারবার রাজ্যে এসে জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন, তখন খোদ রাজ্য সভাপতির কেন্দ্রেই এই ভাঙন যথেষ্ট ভাবনার গেরুয়া শিবিরের কাছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা হলেও, বিজেপি এই ঘটনাকে সে অর্থে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
এদিন শুধু বিজেপি ছেড়েই নয়, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছেড়েও চার শতাধিক নেতা-কর্মী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও বিধায়ক অর্জুন সিং তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন। এদিন এই যোগদান অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায় ও কাজে বিরক্ত তাঁরই নিজের কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীরা। তার প্রতিফলন ঘটেছে এদিন।
শোভনদেব বলেন, তৃণমূল নেত্রীর উন্নয়ন কাজে অংশ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে শাসক দলে যোগদানের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই দাবিকে বিবেচনা করেছে তৃণমূল। এবং তাঁদের দলে নেওয়া হয়েছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, বিজেপি কর্মীরাই এখন তাঁদের রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। সেই প্রতিবাদই ঝরে পড়েছে তাঁদের চিঠিতে, সেই প্রতিবাদেই দলত্যাগ করে তৃণমূল শিবিরে এসেছেন এঁরা।