২০১৯-এ নয়, বেশি আসন পেতে বিজেপি-র ৩০১৯ লেগে যাবে, কটাক্ষ পার্থর
২০১৯ নয়, এ রাজ্যে বিজেপি-র সবথেকে বেশি আসন পেতে লেগে যাবে ৩০১৯ সাল। বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে।
কলকাতা, ২৬ এপ্রিল : ২০১৯ নয়, এ রাজ্যে বিজেপি-র সবথেকে বেশি আসন পেতে লেগে যাবে ৩০১৯ সাল। বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে। রাজ্যে এসে অমিত শাহ দাবি করেছেন, ২০১৯-এ বিজেপি সবথেকে বেশি আসন পাবে রাজ্যে। মানুষের উৎসাহ দেখে অমিত শাহের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গে পার্থবাবুর আরও দাবি, ওরা ২০১৯-এ বেশি আসন পাওয়ার গল্প শুনিয়ে ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা করছে মানুষকে।
পার্থবাবু বলেন, আমরা বাংলা গড়তে চাই। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বাংলা গড়তে চান, অমিত শাহেররা বাংলা ভাঙতে চান। আর সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই গরেম জেলায় জেলায় ঘুরে সোনার বাংলার গড়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন, তখন এরা দলিত বাড়িতে গিয়ে ভুরিভোজ করে সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়তে ব্যস্ত থেকেছেন।
সস্তার রাজনীতি করছেন অমিত শাহরা। এখন উল্টে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করছেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থেই তোষণ করছেন কারা। কারা দলিত বাড়িতে গিয়ে পাত পেতে খেয়ে নজর কাড়তে চাইছেন? তাহলেই বুঝুন, কারা তোষমের রাজনীতি করছেন।
পার্থবাবু বলেন, সিপিএমের জন্য বাংলা পিছিয়ে গিয়েছে। ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে সরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরলসভাবে আন্দোলন করে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে পাশে নিয়ে তিনি সারা জীবন চলেছেন। এখনও তাদের জন্যই কাজ করে চলেছেন। আর এরা সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাংলাকে টার্গেট করছেন। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি এত ভঙ্গুর নয়।
নারদ প্রসঙ্গে পার্থবাবু পাল্টা তোপ দাগেন অমিত শাহদের। বলেন, বাবরি কাণ্ডে যে সমস্ত অভিযুক্তদের নাম করেছে সুপ্রিম কোর্ট, তাঁদের বরখাস্ত করেছে বিজেপি? তাহলে নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের অভিযোগ উঠছে কেন?